০১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কুষ্টিয়ার স্থবির স্বাস্থ্য সেবার প্রান ফেরাতে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক

কুষ্টিয়া জেলার সরকারী বা প্রাইভেট সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠনগুলিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সরকারী হাসপাতালের তথ্যমতে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও ৫টি উপজেলায় প্রতিটিতে ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। নানা অনিয়ম-অবহেলা সত্ত্বেও স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শয্যা সংখ্যার দ্বি-গুন থেকে তিনগুন বেশী ভর্তি রোগী ছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানের বর্হিবিভাগ থেকে কমপক্ষে সাড়ে ৩হাজার রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যত: গোটা স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলিতে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসকরা এমন দাবি করলেও পরিস্থিতির উত্তোরণে মাঠে নেমেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।

কুমারখালী উপজেলার স্থানীয় সংবাদ কর্মী দীপু খন্দকার বলেন, এমনিতেই সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকদের নানা অবহেলা নিত্যদিনের ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়েই অগত্যা চিকিৎসা পাওয়ার আসায় ছুটে আসেন হাসপাতালে। এখন সেটাও বন্ধ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের কাছে গিয়ে দেখছেন না, ওষুধ দিচ্ছেন না এবং হাসতাপালে আসতে চাওয়া রোগীদের ভয় ধরিয়ে নিরুৎসাহিত করছেন। স্বাভাবিক সময়েই যেখানে চিকিৎসকরা সন্তোষজনক স্বাস্থ্য সেবা দেন না; এখন তো আবার জেঁকে বসেছে করোনার ভয়। এযেন ‘নাচনী বুড়ির সামনে ঢাকের বাড়ি’র মতো অবস্থা।

খোকসা উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে আলসার জনিত রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আফসার আলীর ছেলে ফরহাদের অভিযোগ, আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখছি সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সকল প্রকার নিরাপত্তা সামগ্রীর যোগান দিয়েছেন। অথচ যে কোন ধরণের রোগীদের কাছে ভয়েই ভিড়ছেন না চিকিৎসকরা। ডাক্তার এসে দুর থেকে দেখে প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছেন আমরা সেই ওষধ গুলি বাইরের দোকান থেকে কিনে এনে দিচ্ছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আকুল উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সব রোগীকে ওষুধ দেয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি নিজেদের সিমাবদ্ধতা হিসেবে চিকিৎসক ও সহকারী কর্মীদের সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার উল্লেখ করেন।

খোকসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: কামরুজ্জামন সোহেল জানান, করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় অধিক সংখ্যক রোগীরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এরপরও যারা আসছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন দাবি করে তিনি চিকিৎসক সংকটসহ চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রীর গুনগত নি¤œমানের হওয়ায় শংকার কথা জানালেন তিনি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে রোগীদের হাসপতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে উৎসাহ যোগানো এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে যারা কাজ করছেন তাদের মাঝেও যাতে রোগীদের প্রতি আরও বেশী যতœবান ও আন্তরিকতার প্রকাশ পায় সরেজমিন মাঠে নেমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। তা না হলে নানাবিধ কারণে এসময়কালে স্বাস্থ্য স্বেবা থেকে যারা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজটি আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমন্বিত চেষ্টায় জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনের আহ্বান করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কুষ্টিয়ার স্থবির স্বাস্থ্য সেবার প্রান ফেরাতে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত : ০৩:৫১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০

কুষ্টিয়া জেলার সরকারী বা প্রাইভেট সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠনগুলিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সরকারী হাসপাতালের তথ্যমতে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও ৫টি উপজেলায় প্রতিটিতে ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। নানা অনিয়ম-অবহেলা সত্ত্বেও স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শয্যা সংখ্যার দ্বি-গুন থেকে তিনগুন বেশী ভর্তি রোগী ছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানের বর্হিবিভাগ থেকে কমপক্ষে সাড়ে ৩হাজার রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যত: গোটা স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলিতে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসকরা এমন দাবি করলেও পরিস্থিতির উত্তোরণে মাঠে নেমেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।

কুমারখালী উপজেলার স্থানীয় সংবাদ কর্মী দীপু খন্দকার বলেন, এমনিতেই সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকদের নানা অবহেলা নিত্যদিনের ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়েই অগত্যা চিকিৎসা পাওয়ার আসায় ছুটে আসেন হাসপাতালে। এখন সেটাও বন্ধ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের কাছে গিয়ে দেখছেন না, ওষুধ দিচ্ছেন না এবং হাসতাপালে আসতে চাওয়া রোগীদের ভয় ধরিয়ে নিরুৎসাহিত করছেন। স্বাভাবিক সময়েই যেখানে চিকিৎসকরা সন্তোষজনক স্বাস্থ্য সেবা দেন না; এখন তো আবার জেঁকে বসেছে করোনার ভয়। এযেন ‘নাচনী বুড়ির সামনে ঢাকের বাড়ি’র মতো অবস্থা।

খোকসা উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে আলসার জনিত রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আফসার আলীর ছেলে ফরহাদের অভিযোগ, আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখছি সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সকল প্রকার নিরাপত্তা সামগ্রীর যোগান দিয়েছেন। অথচ যে কোন ধরণের রোগীদের কাছে ভয়েই ভিড়ছেন না চিকিৎসকরা। ডাক্তার এসে দুর থেকে দেখে প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছেন আমরা সেই ওষধ গুলি বাইরের দোকান থেকে কিনে এনে দিচ্ছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আকুল উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সব রোগীকে ওষুধ দেয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি নিজেদের সিমাবদ্ধতা হিসেবে চিকিৎসক ও সহকারী কর্মীদের সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার উল্লেখ করেন।

খোকসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: কামরুজ্জামন সোহেল জানান, করোনার কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় অধিক সংখ্যক রোগীরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এরপরও যারা আসছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন দাবি করে তিনি চিকিৎসক সংকটসহ চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রীর গুনগত নি¤œমানের হওয়ায় শংকার কথা জানালেন তিনি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে রোগীদের হাসপতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে উৎসাহ যোগানো এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে যারা কাজ করছেন তাদের মাঝেও যাতে রোগীদের প্রতি আরও বেশী যতœবান ও আন্তরিকতার প্রকাশ পায় সরেজমিন মাঠে নেমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। তা না হলে নানাবিধ কারণে এসময়কালে স্বাস্থ্য স্বেবা থেকে যারা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজটি আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমন্বিত চেষ্টায় জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনের আহ্বান করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান