০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

অনলাইনে দেওয়া হলো ২০ লাখ শিক্ষার্থীর বৃত্তি

দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০  শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে পাঠানো হয়েছে।  আগামী ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (২২ জুন) ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বৃত্তি দেওয়া হতো এবং শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হতো। অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি পাওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পাঠানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ফল হিসেবে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি। ’ এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী।

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মুর্তাজা মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ অফিসের বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মোবাইলে পৗঁছে দেওয়া এই পুরো কাজটিই হবে অনলাইনে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

অনলাইনে দেওয়া হলো ২০ লাখ শিক্ষার্থীর বৃত্তি

প্রকাশিত : ০৮:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০  শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে পাঠানো হয়েছে।  আগামী ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (২২ জুন) ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বৃত্তি দেওয়া হতো এবং শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হতো। অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি পাওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পাঠানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ফল হিসেবে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি। ’ এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী।

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মুর্তাজা মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ অফিসের বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মোবাইলে পৗঁছে দেওয়া এই পুরো কাজটিই হবে অনলাইনে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর