০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারাদেশে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বাঁধ উচু, প্রশস্ত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। নদীগুলোতে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সারা বাংলাদেশেই স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কর্মকা-ের কারণে মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সবসময় আছেন।

তিনি বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বেলটিয়া গ্রাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যারাই করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।

জেলা প্রশাসকদের সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব একটি কমিটি রয়েছে। অপরদিকে যারা নদীগুলোতে অবৈধ স্থাপনা করেছেন তাদেরকে বিরুদ্ধে আমারা যৌথ অভিযান করেছি। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

ইতিমধ্যেই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছে চিঠি দিয়ে কোন কোন জায়গাগুলো অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, সেগুলোর তালিকা আমরা নিয়ে এসেছি। তালিকা ধরে আমরা কাজও শুরু করেছি। তবে বর্তমানে বর্ষার কারণে আমরা নদী ভাঙন এলাকাগুলোতে কাজ করছি। বর্ষার পড়েই আবার উচ্ছেদ অভিযান নতুৃন করে শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বেলটিয়া গ্রামে নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারা মানুষকে সরকারী উদ্যোগে পুর্নবাসনন করা হবে। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে ভরাট করে যার যেখানে ঘর-বাড়ি ছিল সেখানেই তাদের ঘর-বাড়ি নির্মান করে দেয়া হবে সরকারী উদ্যোগে। পরে উপমন্ত্রী ওই এলাকায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৭ টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমান খান সোহেল হাজারী, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার) মো. আজিজুল, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আরা নিপাসহ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপারের ২য় রক্ষা বাঁধের নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই গত কয়েকদিন আগে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাঁধের ব্লক ভেঙে বেলটিয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘড়-বাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সারাদেশে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে

প্রকাশিত : ০৫:২৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বাঁধ উচু, প্রশস্ত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। নদীগুলোতে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সারা বাংলাদেশেই স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কর্মকা-ের কারণে মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সবসময় আছেন।

তিনি বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বেলটিয়া গ্রাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যারাই করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।

জেলা প্রশাসকদের সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব একটি কমিটি রয়েছে। অপরদিকে যারা নদীগুলোতে অবৈধ স্থাপনা করেছেন তাদেরকে বিরুদ্ধে আমারা যৌথ অভিযান করেছি। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

ইতিমধ্যেই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছে চিঠি দিয়ে কোন কোন জায়গাগুলো অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, সেগুলোর তালিকা আমরা নিয়ে এসেছি। তালিকা ধরে আমরা কাজও শুরু করেছি। তবে বর্তমানে বর্ষার কারণে আমরা নদী ভাঙন এলাকাগুলোতে কাজ করছি। বর্ষার পড়েই আবার উচ্ছেদ অভিযান নতুৃন করে শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বেলটিয়া গ্রামে নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারা মানুষকে সরকারী উদ্যোগে পুর্নবাসনন করা হবে। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে ড্রেজিংয়ের বালি দিয়ে ভরাট করে যার যেখানে ঘর-বাড়ি ছিল সেখানেই তাদের ঘর-বাড়ি নির্মান করে দেয়া হবে সরকারী উদ্যোগে। পরে উপমন্ত্রী ওই এলাকায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৭ টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমান খান সোহেল হাজারী, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার) মো. আজিজুল, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আরা নিপাসহ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপারের ২য় রক্ষা বাঁধের নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই গত কয়েকদিন আগে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাঁধের ব্লক ভেঙে বেলটিয়া গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘড়-বাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত