১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে ‘রিকভারি প্ল্যান’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে একটি ‘রিকভারি প্ল্যান’ তৈরি করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি। ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রণালয়।

এবছর ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। মাববুব আলী বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্থরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেওয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’

তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। এই এসওপি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে যায় সে জন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে।

মাহবুব আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে একাজের পরিধি আরও বাড়ানো হবে।‘

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে ‘রিকভারি প্ল্যান’

প্রকাশিত : ০৭:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে একটি ‘রিকভারি প্ল্যান’ তৈরি করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি। ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রণালয়।

এবছর ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। মাববুব আলী বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্থরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেওয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’

তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। এই এসওপি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে যায় সে জন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে।

মাহবুব আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে একাজের পরিধি আরও বাড়ানো হবে।‘

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর