০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কানাডা সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার কঠোরভবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়াও শুরু করেছে। তারপরও মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কানাডায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে বলে ফেডারেল পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা জানিয়েছেন।
কানাডা সরকারের কঠোরভাবে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই ওই কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম।
অন্যদিকে সমস্ত কানাডায় এখন ভ্যাকসিনের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তার প্রধান কারণ ফাইজার কোম্পানি কানাডায় প্রয়োজনের চাইতে অর্ধেক ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। যদিও কানাডা সকল দেশের আগে ফাইজার থেকে ভ্যাকসিন সুরক্ষিত করছিল। এখন ফাইজার সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে না পারায় কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে এখন ভ্যাকসিনের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে কানাডায় উৎপাদিত নতুন করোনভাইরাস ভ্যাকসিন প্রথমবারের মতো  ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী ব্র্যাড সোরেসন বলেছেন, কানাডায় ডিজাইন করা ও তৈরি করা টিকা প্রথমবারের মতো টরোন্টোর এক ক্লিনিকে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে তিনটি করে শট দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিনটি উৎপাদনকারী সংস্থা ক্যালগেরির প্রোভিডেন্স থেরাপিউটিক্স বলেছেন, যদি সব কিছু ঠিকঠাক মতো হয়, তবে চলতি বছরের শেষের দিকে এই কানাডায় প্রথম সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন শুরু হতে পারে। গত এপ্রিল মাসে ক্যালগেরির এই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাটি কানাডা সরকারের কাছে অনুদানের জন্য আবেদন করে।
ব্র্যাড সোরেসন বলেন, আমরা তখন যদি সাহায্য এবং সহযোগিতা পেতাম তাহলে আমরা আগামী কয়েক মাসের মাঝেই কানাডিয়ান জনগণকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হতাম।
উল্লেখ্য, করোনার প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত কানাডা সরকার দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪ হাজার ২৬০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ হাজার ৭৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৬ জন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কানাডা সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে

প্রকাশিত : ০৩:১২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার কঠোরভবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়াও শুরু করেছে। তারপরও মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কানাডায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে বলে ফেডারেল পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা জানিয়েছেন।
কানাডা সরকারের কঠোরভাবে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই ওই কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম।
অন্যদিকে সমস্ত কানাডায় এখন ভ্যাকসিনের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তার প্রধান কারণ ফাইজার কোম্পানি কানাডায় প্রয়োজনের চাইতে অর্ধেক ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। যদিও কানাডা সকল দেশের আগে ফাইজার থেকে ভ্যাকসিন সুরক্ষিত করছিল। এখন ফাইজার সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে না পারায় কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে এখন ভ্যাকসিনের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে কানাডায় উৎপাদিত নতুন করোনভাইরাস ভ্যাকসিন প্রথমবারের মতো  ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী ব্র্যাড সোরেসন বলেছেন, কানাডায় ডিজাইন করা ও তৈরি করা টিকা প্রথমবারের মতো টরোন্টোর এক ক্লিনিকে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে তিনটি করে শট দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিনটি উৎপাদনকারী সংস্থা ক্যালগেরির প্রোভিডেন্স থেরাপিউটিক্স বলেছেন, যদি সব কিছু ঠিকঠাক মতো হয়, তবে চলতি বছরের শেষের দিকে এই কানাডায় প্রথম সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন শুরু হতে পারে। গত এপ্রিল মাসে ক্যালগেরির এই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাটি কানাডা সরকারের কাছে অনুদানের জন্য আবেদন করে।
ব্র্যাড সোরেসন বলেন, আমরা তখন যদি সাহায্য এবং সহযোগিতা পেতাম তাহলে আমরা আগামী কয়েক মাসের মাঝেই কানাডিয়ান জনগণকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হতাম।
উল্লেখ্য, করোনার প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত কানাডা সরকার দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪ হাজার ২৬০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ হাজার ৭৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৬ জন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার