০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

স্ত্রী’র অধিকারের দাবি গৃহবধুর

টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল মো. কবির হোসেনের স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধু।

বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সোনিয়া আক্তার মির্জাপুরের আগ ছাওয়ালী গ্রামের মো. সরোয়ার মিয়ার মেয়ে ও ধনবাড়ী উপজেলার আমনগ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মো. কবির হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। কবির হোসেন মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত রয়েছে।

সোনিয়া আক্তার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে সোনিয়ার আক্তারের সাথে কবির হোসেনের পরিচয় হয়। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও কবির হোসেন তা গোপন করে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সোনিয়া আক্তারকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কবির হোসেন তার বাড়িতে না নিয়ে সোনিয়ার বাবার বাড়িতেই রেখে দেয়। এভাবে তাদের সংসার চলতে থাকে। কবির পদন্নোতির কথা বলে কয়েক দফায় স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় কবির। কবিরদের বাড়িতে সোনিয়াকে নিতে বললে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি সোনিয়ার সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কবির ইতিপূর্বে সাত লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রীকেও তার বাবার বাড়িতে রেখে দাম্পত্য স্বত্ব পালন করছে। শ্বশুড় বাড়িতে সোনিয়া যেতে চাইলে তার বাবার কাছে সাত লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে কবির। কবির তার বাবা আব্দুল মোতালেবের মাধ্যমেও সাত লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সোনিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে কবির হোসেন। সোনিয়া আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয় কবির। এক পর্যায়ের সোনিয়ার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কবির। এরপর থেকে বাবার বাড়িতেই অসহায় জীবন যাপন করছে সোনিয়া।

সোনিয়া আক্তার বলেন, আমি শারিরীক নির্যাতন সহ্য করেও কবিরের সংসার করতে চাইছি। সে আমার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে খুব অসহায় জীবন যাপন করছি। আমি স্ত্রীর অধিকার দাবি করছি। স্ত্রীর অধিকারের জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতকা কামনা করছি।

অভিযুক্ত কনস্টেবল কবির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার বাবা মো. সরোয়ার মিয়া, মা নাজমা বেগম ও ভাই মিরাজ সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সাব এডিটরস কাউন্সিলের নতুন সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

স্ত্রী’র অধিকারের দাবি গৃহবধুর

প্রকাশিত : ০৫:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল মো. কবির হোসেনের স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধু।

বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সোনিয়া আক্তার মির্জাপুরের আগ ছাওয়ালী গ্রামের মো. সরোয়ার মিয়ার মেয়ে ও ধনবাড়ী উপজেলার আমনগ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মো. কবির হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। কবির হোসেন মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত রয়েছে।

সোনিয়া আক্তার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে সোনিয়ার আক্তারের সাথে কবির হোসেনের পরিচয় হয়। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও কবির হোসেন তা গোপন করে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সোনিয়া আক্তারকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কবির হোসেন তার বাড়িতে না নিয়ে সোনিয়ার বাবার বাড়িতেই রেখে দেয়। এভাবে তাদের সংসার চলতে থাকে। কবির পদন্নোতির কথা বলে কয়েক দফায় স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় কবির। কবিরদের বাড়িতে সোনিয়াকে নিতে বললে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি সোনিয়ার সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কবির ইতিপূর্বে সাত লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রীকেও তার বাবার বাড়িতে রেখে দাম্পত্য স্বত্ব পালন করছে। শ্বশুড় বাড়িতে সোনিয়া যেতে চাইলে তার বাবার কাছে সাত লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে কবির। কবির তার বাবা আব্দুল মোতালেবের মাধ্যমেও সাত লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সোনিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে কবির হোসেন। সোনিয়া আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয় কবির। এক পর্যায়ের সোনিয়ার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কবির। এরপর থেকে বাবার বাড়িতেই অসহায় জীবন যাপন করছে সোনিয়া।

সোনিয়া আক্তার বলেন, আমি শারিরীক নির্যাতন সহ্য করেও কবিরের সংসার করতে চাইছি। সে আমার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে খুব অসহায় জীবন যাপন করছি। আমি স্ত্রীর অধিকার দাবি করছি। স্ত্রীর অধিকারের জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতকা কামনা করছি।

অভিযুক্ত কনস্টেবল কবির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার বাবা মো. সরোয়ার মিয়া, মা নাজমা বেগম ও ভাই মিরাজ সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর