পূণ্য সেবার মধ্য দিয়ে সাধুদের মুল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাধুরা নিজ নিজ বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার ১৯ অক্টোবর সকাল থেকে সাধু ভক্তরা লালন চত্বর ছেড়ে নিজ গৃহে চলে যাওয়ার ফলে লালন চত্বর ফাকা হতে চলেছে। বিদায় লগ্নে অনেক সাধু লালন ভক্তরা চোখের জল ভাসিয়ে লালন চত্বরের আসন ছেড়েছে। আবার ১লা কার্তিক বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই এর ধামে আসবে তারা। সাধুদের মধ্যে অনেকেই আজকের দিনও লালন চত্বরে অবস্থান করবে বলে কয়েকজন লালন ভক্তরা জানায়। এর ফলে সাধুদের ভাঙ্গল মিলন মেলা।
গত তিন দিন ধরে এক তারা দোতারা বাদ্য যন্ত্র নিয়ে সাধুরা গানের মধ্য দিয়ে লালনকে স্মরন করতে থাকে। “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”, “মায়েরে ভজলে হয় বাপেরই পরিচয়”, “মিলন হবে কত দিনে” “ রাত পোহালে পাখি বলে, দে রে খাই দে রে খাই” লালন সঙ্গীতের লালনের আধ্যাত্মিক গানে লালন চত্বর মুখরিত হয়। দিন রাত চলে সাধু ভক্তদের লালন সংগীত। লালনের আধ্যাত্মিক গানের মধ্যেই খুজে পেয়েছে লালনের দর্শন।
বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর ১৩২ তম তিরোধান দিবসের আজ বুধবার রাতে আলোচনার সমাপনি অনুষ্ঠান। তবে ২ বছর বন্ধের পর এবার লালন স্মরোণৎসবে স্মরণকালের সব চেয়ে বেশী লালন ভক্ত আর লালন সাধুদের আগমন ঘটায় লালন চত্বর মুখোরিত হয়ে উঠে। এক দিকে সন্ধ্যায় কালিগাং নদী পারে বিশাল মঞ্চে চলছে লালনের জীবনীর উপর আলোচনা ও লালন একাডেমীর আয়োজনে লালন সংগীত অপর দিকে লালন মাজার চত্বরে সাধুদের আধ্যাতিক লালন গান। দেশ-বিদেশ থেকে আসা লালন অনুসারীরা লালন চত্বরে সাধুদের পাশে বসে ভীড় জমিয়ে লালনের সন্ধ্যানে ব্যকুল হয়ে উঠে। এবার লালন স্মরোণৎসব কে ঘিরে লালন চত্বরে বাউলদের আগমনে তিলধরনের ঠাঁই ছিলনা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব