০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

১১ লাখ গাজাবাসীকে সরে যেতে আল্টিমেটাম ইসরায়েলের

গাজাবাসীর প্রতি এক ভয়াবহ আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনী। জাতিসংঘের মাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ওয়াদি গাজা থেকে সেখানকার ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, ইসরায়েল যে দাবি করেছে তাতে ওই অঞ্চলের অন্তত ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এ আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছে ইসরায়েলের কাছে।

স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘এ ধরনের স্থানান্তরকে জাতিসংঘ অসম্ভব বলে বিবেচনা করছে এবং এতে কেবল ভয়াবহ বিধ্বংসী মানবিক বিপর্যয়ই ঘটবে।’ তিনি আরও বলেন, এ ধরনে আদেশ কেবল এরই মধ্যে তৈরি হয়ে থাকা একটি বিয়োগান্ত ঘটনাকে স্রেফ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত করবে।

জাতিসংঘের এ মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের এই আল্টিমেটাম জাতিসংঘের সব কর্মকর্তা-কর্মীর জন্য প্রযোজ্য এমনকি যারা জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিভিন্ন ক্লিনিকসহ বিভিন্ন অবস্থানে যারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদের জন্যও প্রযোজ্য। ইসরায়েল এমনটাই জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ওয়াদি গাজা বা উত্তর গাজা মূলত গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এটি গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থী কেন্দ্র, বাইত লাহিয়া ও বাইত আল-হনুন এলাকা নিয়ে গঠিত।

এদিকে, ইসরায়েলের এই আল্টিমেটামকে ভুয়া প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস এবং গাজাবাসীকে এই মিথ্যার ফাঁদে না পড়ে নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে বলেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

১১ লাখ গাজাবাসীকে সরে যেতে আল্টিমেটাম ইসরায়েলের

প্রকাশিত : ১২:৩২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

গাজাবাসীর প্রতি এক ভয়াবহ আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনী। জাতিসংঘের মাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ওয়াদি গাজা থেকে সেখানকার ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, ইসরায়েল যে দাবি করেছে তাতে ওই অঞ্চলের অন্তত ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এ আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছে ইসরায়েলের কাছে।

স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘এ ধরনের স্থানান্তরকে জাতিসংঘ অসম্ভব বলে বিবেচনা করছে এবং এতে কেবল ভয়াবহ বিধ্বংসী মানবিক বিপর্যয়ই ঘটবে।’ তিনি আরও বলেন, এ ধরনে আদেশ কেবল এরই মধ্যে তৈরি হয়ে থাকা একটি বিয়োগান্ত ঘটনাকে স্রেফ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত করবে।

জাতিসংঘের এ মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের এই আল্টিমেটাম জাতিসংঘের সব কর্মকর্তা-কর্মীর জন্য প্রযোজ্য এমনকি যারা জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিভিন্ন ক্লিনিকসহ বিভিন্ন অবস্থানে যারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদের জন্যও প্রযোজ্য। ইসরায়েল এমনটাই জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ওয়াদি গাজা বা উত্তর গাজা মূলত গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এটি গাজা শহর, জাবালিয়া শরণার্থী কেন্দ্র, বাইত লাহিয়া ও বাইত আল-হনুন এলাকা নিয়ে গঠিত।

এদিকে, ইসরায়েলের এই আল্টিমেটামকে ভুয়া প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস এবং গাজাবাসীকে এই মিথ্যার ফাঁদে না পড়ে নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে বলেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে