০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সৈনিকের মরদেহ হস্তান্তর

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে শার্শা শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে তার মরদেহ বিজিবির হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে রইশুদ্দীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। পরে জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন। এ বিষয়ে বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সৈনিকের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত : ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে শার্শা শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে তার মরদেহ বিজিবির হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে রইশুদ্দীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। পরে জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন। এ বিষয়ে বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে