০১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

লোকসভায় এবার হেরে গেলেন যে মন্ত্রীরা

স্মৃতি ইরানি, রাজিব চন্দ্রশেখর ও অর্জুন মুণ্ডা। বিজেপির এ তিন মন্ত্রীই হেরে গেছেন কংগ্রেস প্রার্থীদের কাছে। ফাইল ছবি

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে ইতোমধ্যে। নির্বাচনে আশাতীত ফল পেয়েছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। পক্ষান্তরে বড় ধরনের টান পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির ঝুলিতে। জোটে ভর করে ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৬ আসন জিতে নিলেও বড় অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছে মোদির। কংগ্রেসের পুনর্জাগরণে অনেক জায়গাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন তার দলের হেভিওয়েট নেতারা। ইন্ডিয়া জোটের দাপটে করুণভাবে হেরে গেছেন আগের লোকসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও।

এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম। উত্তর প্রদেশের আমেথিতে কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে তিনি। ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৬০ হাজার।

কেরালার থিরুভানানথাপুরমে কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে হেরে গেছেন ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। ভোটের ব্যবধান ১৬ হাজার।

ঝাড়খণ্ডের খুন্তি লোকসভা আসনে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা প্রায় দেড় লাখ ভোটে হেরে গেছেন কংগ্রেস প্রার্থী কালীচরণ মুণ্ডার কাছে।

মোহনলালগঞ্জ আসনে আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আর.কে. চৌধুরীর কাছে। তাদের ভোটের ব্যবধান ৭০ হাজার ২৯২।

এছাড়া ভারী শিল্প বিষয়কমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে সমাজবাদী পার্টির বীরেন্দ্র সিং-এর কাছে হারিয়েছেন চান্দৌলি আসন। ভোটের ব্যবধান ২১ হাজার।

লখিমপুর খেরি লোকসভা আসনে পরাজয়ের মুখ দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয়​মিশ্র টেনি। প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে তাকে হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী উৎকর্ষ ভার্মা।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে গেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের ঘাঁটি। প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে বাঁকুড়ার লোকসভা আসনটি এবার জিতে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।

এছাড়া সার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা বিদরে পরাজিত হয়েছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী ঈশ্বর খন্ড্রের ছেলে সাগর খন্ড্রের কাছে।

রাজস্থানের বারমেরে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটে হেরে গেছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী।

মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ পালনের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান পরাজিত হয়েছেন তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে। ডিএমকে’র বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ২ লাখ ৪০ হাজার।

কোচবিহার লোকসভা আসনে হেরেছেন বিজেপির নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিসিথ প্রামাণিক। টিএমসির জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়ার কাছে ৩৯ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।

পশুপালন, মৎস্য ও ডেইরি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলিয়ান হেরে গেছেন মুজাফফরনগর লোকসভা আসনে। ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে আসনটি তিনি হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিং মালিকের কাছে।

দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির মাঝেও মোদিকে স্বস্তির উপলক্ষ এনে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি, পর্যটনমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া। এককভাবে নিরঙ্কুশ জয়লাভ না হলেও তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠন অনেকটাই নিশ্চিত, যদি না জোটে এই মূহুর্তে বড় কোনো ফাটল না ধরে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

লোকসভায় এবার হেরে গেলেন যে মন্ত্রীরা

প্রকাশিত : ০২:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে ইতোমধ্যে। নির্বাচনে আশাতীত ফল পেয়েছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। পক্ষান্তরে বড় ধরনের টান পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির ঝুলিতে। জোটে ভর করে ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৬ আসন জিতে নিলেও বড় অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছে মোদির। কংগ্রেসের পুনর্জাগরণে অনেক জায়গাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন তার দলের হেভিওয়েট নেতারা। ইন্ডিয়া জোটের দাপটে করুণভাবে হেরে গেছেন আগের লোকসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও।

এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম। উত্তর প্রদেশের আমেথিতে কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে তিনি। ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৬০ হাজার।

কেরালার থিরুভানানথাপুরমে কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে হেরে গেছেন ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। ভোটের ব্যবধান ১৬ হাজার।

ঝাড়খণ্ডের খুন্তি লোকসভা আসনে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা প্রায় দেড় লাখ ভোটে হেরে গেছেন কংগ্রেস প্রার্থী কালীচরণ মুণ্ডার কাছে।

মোহনলালগঞ্জ আসনে আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আর.কে. চৌধুরীর কাছে। তাদের ভোটের ব্যবধান ৭০ হাজার ২৯২।

এছাড়া ভারী শিল্প বিষয়কমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে সমাজবাদী পার্টির বীরেন্দ্র সিং-এর কাছে হারিয়েছেন চান্দৌলি আসন। ভোটের ব্যবধান ২১ হাজার।

লখিমপুর খেরি লোকসভা আসনে পরাজয়ের মুখ দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয়​মিশ্র টেনি। প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে তাকে হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী উৎকর্ষ ভার্মা।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে গেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের ঘাঁটি। প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে বাঁকুড়ার লোকসভা আসনটি এবার জিতে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।

এছাড়া সার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা বিদরে পরাজিত হয়েছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী ঈশ্বর খন্ড্রের ছেলে সাগর খন্ড্রের কাছে।

রাজস্থানের বারমেরে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটে হেরে গেছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী।

মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ পালনের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান পরাজিত হয়েছেন তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে। ডিএমকে’র বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ২ লাখ ৪০ হাজার।

কোচবিহার লোকসভা আসনে হেরেছেন বিজেপির নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিসিথ প্রামাণিক। টিএমসির জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়ার কাছে ৩৯ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।

পশুপালন, মৎস্য ও ডেইরি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলিয়ান হেরে গেছেন মুজাফফরনগর লোকসভা আসনে। ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে আসনটি তিনি হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিং মালিকের কাছে।

দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির মাঝেও মোদিকে স্বস্তির উপলক্ষ এনে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি, পর্যটনমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া। এককভাবে নিরঙ্কুশ জয়লাভ না হলেও তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠন অনেকটাই নিশ্চিত, যদি না জোটে এই মূহুর্তে বড় কোনো ফাটল না ধরে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে