০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

জুমার নামাজ ছুটে গেলে কী করবেন?

  • ধর্ম ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • 28

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ। এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা : জুমআ, আয়াত : ৯)

আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়।এতে পাওয়া যায় অনেক সওয়াব। মুছে যায় গুনাহের খাতা। আর যে ব্যক্তি জুমা তরক করে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত।

তাঁরা রাসুল (সা.)-কে তাঁর মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে, অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৫)

যে ব্যক্তি অলসতা করে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। তার অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়।

কেউ যদি জুমার নামাজে যেতে দেরি করে এবং এক রাকাত ছুটে যায়, তবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর মাসবুক হিসেবে বাকি এক রাকাত আদায় করে নেবে। তেমনিভাবে দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যাওয়ার আগে জামাতে অংশ নিতে পারলেও একইভাবে বাকি নামাজ সম্পন্ন করবে।

তবে দ্বিতীয় রাকাতের রুকু শেষ হওয়ার পর জুমার জামাতে অংশ নিলে তা জুমা হিসেবে গণ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে তাকে জোহরের ৪ রাকাত আদায়ের নিয়তে জামাতে শামিল হতে হবে এবং জুমার সালাম ফেরানোর পর মাসবুক হিসেবে ৪ রাকাত জোহরের ফরজ পড়তে হবে।’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলামা-কমিটি: ১ / ৪১৮-৪২১)

জুমার নামাজ এককভাবে পড়ার সুযোগ নেই; জামাতে আদায় করতে হয়। তাই মসজিদে যেতে যেতে জুমা শেষ হয়ে গেলে অথবা কেউ ইচ্ছাকৃত জুমা ছেড়ে দিলে তার জন্য জোহরের ৪ রাকাত নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে যেন আরেক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকাতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকাত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবি শাইবা)

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

জুমার নামাজ ছুটে গেলে কী করবেন?

প্রকাশিত : ০১:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ। এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা : জুমআ, আয়াত : ৯)

আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়।এতে পাওয়া যায় অনেক সওয়াব। মুছে যায় গুনাহের খাতা। আর যে ব্যক্তি জুমা তরক করে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত।

তাঁরা রাসুল (সা.)-কে তাঁর মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে, অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৫)

যে ব্যক্তি অলসতা করে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। তার অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়।

কেউ যদি জুমার নামাজে যেতে দেরি করে এবং এক রাকাত ছুটে যায়, তবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর মাসবুক হিসেবে বাকি এক রাকাত আদায় করে নেবে। তেমনিভাবে দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যাওয়ার আগে জামাতে অংশ নিতে পারলেও একইভাবে বাকি নামাজ সম্পন্ন করবে।

তবে দ্বিতীয় রাকাতের রুকু শেষ হওয়ার পর জুমার জামাতে অংশ নিলে তা জুমা হিসেবে গণ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে তাকে জোহরের ৪ রাকাত আদায়ের নিয়তে জামাতে শামিল হতে হবে এবং জুমার সালাম ফেরানোর পর মাসবুক হিসেবে ৪ রাকাত জোহরের ফরজ পড়তে হবে।’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলামা-কমিটি: ১ / ৪১৮-৪২১)

জুমার নামাজ এককভাবে পড়ার সুযোগ নেই; জামাতে আদায় করতে হয়। তাই মসজিদে যেতে যেতে জুমা শেষ হয়ে গেলে অথবা কেউ ইচ্ছাকৃত জুমা ছেড়ে দিলে তার জন্য জোহরের ৪ রাকাত নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে যেন আরেক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকাতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকাত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবি শাইবা)

বিজনেস বাংলাদেশ/একে