০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

সোনারগাঁয়ে বেড়েছে কলার চাষ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেড়েছে কলার চাষ। বাজারে এর চাহিদা থাকায় ও আর্থিকভাবে লাভবান, তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় বাড়ির পাশের পতিত জমি, পুকুরের পাড়, সড়কের পাশে, এমনকি ফসলি জমিতেও কৃষকেরা চাষ করছেন কলা । দিন দিন অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষিদের কাছে কদর বাড়ছে।

উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কলার চাহিদা থাকে সবসময়। অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচও কম। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলা চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়।লাভ বেশি হওয়ায় এ জেলায় দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। কলার চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে গাছে কাঁদি আসে। এছাড়া কলা চাষের মধ্যে সাথি ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলও আবাদ করা যায়। কলা চাষের যে খরচ হয় সেটা সাথী ফসল থেকে উঠে আসে। ফলে অনেক সময় কলা বিক্রির পুরো টাকাটাই থেকে যায় কৃষকের ঘরে।

সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কৃষি কাজ করি, আমার জমিতে কলা চাষ শুরু করেছি। চলতি মৌসুমে আমি সবজি খেতের পাশে কলার আবাদ করেছি। আমার দেখাদেখি পাশের অনেকে তাদের জমিতে কলা চাষ শুরু করেছেন। গত বছর ভালো ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ফলন আরো ভালো হবে। প্রতি বিঘা জমিতে কলা চাষের জন্য ২৫০-৩০০ কলার চারা রোপণ করা যায়।বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয় প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা।৪০০-৪৫০ টাকয় প্রতি কাঁদি কলা বিক্রি হবে।

সনমান্দী গ্রামের বাসিন্দা সজিব বলেন,আমাদের বাড়ির অবশিষ্ট জায়গাতে আমরা কলা গাছ রোপন করেছি ৷ কলা চাষে পরিশ্রম কম,অন্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে ।কলাতে অনেক ভিটামিন থাকে তাই আমরা সুস্থ থাকতে রোজ কলা খাই।

সোনারগাঁ উপজেলার রাইজদিয়া গ্রামের কলা ব্যবসায়ী নূর ইসলাম বলেন, বর্তমানে এখানকার চাষিরা যেখানে জায়গা পাচ্ছে কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কোনো লোকসান না হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের। তবে অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। কলার কাঁদি অনুযায়ী বিভিন্ন বাগানের দাম নির্ধারণ হয়। দেখা যায় একটি কলার কাঁদি আমরা খেত থেকে ৪০০-৫০০ টাকা দাম দিয়ে ক্রয় করি। আমরা আবার খেত থেকেই অনেক সময় অনেক লাভে বিক্রি করে দিই। তা না হলে জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে কাঁদি ধরে বিক্রি করে দিই।এ উপজেলা ও জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে কলা।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন,সোনারগাঁ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কলার আবাদ হয়েছে ১৬ হেক্টর। চাপা কলা ১২ হেক্টর, আনাজি কলা ৪ হেক্টর। সাধারনত বিচ্ছিন্ন ভাবে আবাদ হয়।

তিনি বলেন,এবার কলা চাষ বেড়েছে। কলা চাষে লাভ হওয়ায় চাষিরা কলা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কলাচাষিদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করে আসছে। চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।উপজেলা চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এখানকার কলা সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

সোনারগাঁয়ে বেড়েছে কলার চাষ

প্রকাশিত : ০২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেড়েছে কলার চাষ। বাজারে এর চাহিদা থাকায় ও আর্থিকভাবে লাভবান, তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় বাড়ির পাশের পতিত জমি, পুকুরের পাড়, সড়কের পাশে, এমনকি ফসলি জমিতেও কৃষকেরা চাষ করছেন কলা । দিন দিন অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষিদের কাছে কদর বাড়ছে।

উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কলার চাহিদা থাকে সবসময়। অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচও কম। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলা চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়।লাভ বেশি হওয়ায় এ জেলায় দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। কলার চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে গাছে কাঁদি আসে। এছাড়া কলা চাষের মধ্যে সাথি ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলও আবাদ করা যায়। কলা চাষের যে খরচ হয় সেটা সাথী ফসল থেকে উঠে আসে। ফলে অনেক সময় কলা বিক্রির পুরো টাকাটাই থেকে যায় কৃষকের ঘরে।

সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কৃষি কাজ করি, আমার জমিতে কলা চাষ শুরু করেছি। চলতি মৌসুমে আমি সবজি খেতের পাশে কলার আবাদ করেছি। আমার দেখাদেখি পাশের অনেকে তাদের জমিতে কলা চাষ শুরু করেছেন। গত বছর ভালো ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ফলন আরো ভালো হবে। প্রতি বিঘা জমিতে কলা চাষের জন্য ২৫০-৩০০ কলার চারা রোপণ করা যায়।বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয় প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা।৪০০-৪৫০ টাকয় প্রতি কাঁদি কলা বিক্রি হবে।

সনমান্দী গ্রামের বাসিন্দা সজিব বলেন,আমাদের বাড়ির অবশিষ্ট জায়গাতে আমরা কলা গাছ রোপন করেছি ৷ কলা চাষে পরিশ্রম কম,অন্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে ।কলাতে অনেক ভিটামিন থাকে তাই আমরা সুস্থ থাকতে রোজ কলা খাই।

সোনারগাঁ উপজেলার রাইজদিয়া গ্রামের কলা ব্যবসায়ী নূর ইসলাম বলেন, বর্তমানে এখানকার চাষিরা যেখানে জায়গা পাচ্ছে কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কোনো লোকসান না হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের। তবে অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। কলার কাঁদি অনুযায়ী বিভিন্ন বাগানের দাম নির্ধারণ হয়। দেখা যায় একটি কলার কাঁদি আমরা খেত থেকে ৪০০-৫০০ টাকা দাম দিয়ে ক্রয় করি। আমরা আবার খেত থেকেই অনেক সময় অনেক লাভে বিক্রি করে দিই। তা না হলে জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে কাঁদি ধরে বিক্রি করে দিই।এ উপজেলা ও জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে কলা।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন,সোনারগাঁ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কলার আবাদ হয়েছে ১৬ হেক্টর। চাপা কলা ১২ হেক্টর, আনাজি কলা ৪ হেক্টর। সাধারনত বিচ্ছিন্ন ভাবে আবাদ হয়।

তিনি বলেন,এবার কলা চাষ বেড়েছে। কলা চাষে লাভ হওয়ায় চাষিরা কলা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কলাচাষিদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করে আসছে। চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।উপজেলা চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এখানকার কলা সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস