০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা

টেলিভিশনসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও বা বক্তব্য প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত গণমাধ্যম কর্মকর্তাদের আমরা সতর্ক করছি। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতির ইতিহাসের এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারাধীন। পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী তাদের নেতাদের বক্তব্য প্রচার বা সম্প্রচার করাও অপরাধ। যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের (আওয়ামী লীগ) নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। জনগণ প্রথমবারের মতো সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তৃতা, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি। তা প্রচার করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর সতর্কতা ও দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। শেখ হাসিনার যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার বা পুনঃপ্রচার গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে। আইন ভঙ্গকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম আইনি জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবে।

ডিএস./

জনপ্রিয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির একদিনে ২৩১৩ মামলা

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ০৪:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

টেলিভিশনসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও বা বক্তব্য প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত গণমাধ্যম কর্মকর্তাদের আমরা সতর্ক করছি। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতির ইতিহাসের এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারাধীন। পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী তাদের নেতাদের বক্তব্য প্রচার বা সম্প্রচার করাও অপরাধ। যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের (আওয়ামী লীগ) নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। জনগণ প্রথমবারের মতো সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তৃতা, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি। তা প্রচার করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর সতর্কতা ও দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। শেখ হাসিনার যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার বা পুনঃপ্রচার গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে। আইন ভঙ্গকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম আইনি জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবে।

ডিএস./