বাউলের মনের মানুষই রূপ নিয়েছে তার জীবন দেবতা। রবির অস্ফুট চিন্তাকে পরিস্ফুট করছে তার বাউল মন। নিজেকে তিনি বলেছেন, বাউল কবি। আজ ২৫ শে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী।
জন্মেছিলেন বিত্ত, বিদ্যা, সংস্কৃতি ও শহুরে আভিজাত্যের আবহে। বয়স যখন বাইশ তার হাতে পড়ে লালনের একটি গানের সংকলন। তিনি পেয়ে গেলেন তার একবারে নিজস্ব পরিমণ্ডল। রূপ ও ভাবে, এই খানে তাকে বুঝে নিতে হলো তার আত্মপরিচয়ের বলয় আর কেন্দ্র।
বাউল গানে রবীন্দ্রনাথ আপন আত্মার প্রতিধ্বনি শুনতে পেলেন। আপন ভাবনার সমর্থন খুঁজে পেলেন এ গানের কথায়। ধর্মচিন্তা শাস্ত্রের ভূমি ছেড়ে প্রাণের আকাশে উধাও হলো।
রবীন্দ্র মানসে বাউল প্রভাবের মূলে ছিল লালনের গান। বাউলের মনের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে মরমি পথে টেনে নেয়। আর তাইতো, সুর, বাণী, তত্ত্বকথা যেমন তাকে আকৃষ্ট করেছিল তেমনি বাউলের বেশভূষারও প্রভাব পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের যাপিত জীবনে।
রবীন্দ্রনাথে বাউল প্রভাবিত গান প্রাকৃতিক নিশীথিনী যেন,তার সামনে দাঁড়ালে সমস্ত মিথ্যে, সরে যায় সাজিয়ে কথা-বলার সংসার। অন্তরগ্লানির মধ্যে দাড়িয়ে, দু:খ আর মৃত্যুর অবারিত অস্তিত্বের মধ্যে দাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথের কারণেই আমরা এখন আমরা বলতে পারি তবু প্রাণ নিত্যধারা হাসে সূর্য চন্দ্র তারা।
বিবি/জেজে

























