১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বে টার্মিনালের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

পতেঙ্গার সাগরপাড়ে ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০১ একর খাসজমি প্রতীকী মূল্যে পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পণ্য ও কনটেইনার ওঠানো-নামানোর এই টার্মিনালের জন্য তিন কোটি তিন টাকা সেলামি মূল্য জমা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনটি পৃথক চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো এই চিঠি আজ বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ বুঝে পেয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁষে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে এসব জায়গা বরাদ্দ দেয় সরকার।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই জমি বরাদ্দ দেবে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্যক্তিমালিকানাধীন ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্দরকে দেয় জেলা প্রশাসন। নতুন বরাদ্দ পেলে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৬৮ একর। তবে প্রকল্পের জন্য আরও ৩০২ একর জমি দরকার। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাঠানো তিনটি চিঠি গত বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৫০১ একর খাসজমি বরাদ্দ পেতে ৩ কোটি ৩ টাকা সেলামি মূল্য জমা দিতে হবে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন্দোবস্ত দলিল স্বাক্ষর হবে। চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, জমি বন্দোবস্তের জন্য টাকা জমা দেওয়া হবে।

এছাড়া প্রায় ৩০০ একর জমি বরাদ্দ পেতে প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার জানান, বেটার্মিনালের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি প্রতীকী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে তিন মৌজায় এসব জমির জন্য নির্ধারিত ১ কোটি ১ টাকা করে ৩ কোটি ৩ টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় বেটার্মিনাল প্রকল্পে সরাসরি ৮০০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসতে পারে। বেটার্মিনাল প্রকল্পের দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে বঙ্গোপসাগরের রাসমণিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জমির ওপর বেটার্মিনাল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে চবকের যৌথ উদ্যোগে বহুমুখী টার্মিনালটি তৈরি করা হবে। আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বহুমুখী টার্মিনাল তৈরির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বেটার্মিনালের দুটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রত্যেকে ১৫০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান চবক চেয়ারম্যান। তেল-গ্যাস টার্মিনালের জন্য সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এটি তৈরি করবে। টার্মিনাল তৈরির পর দেশের জ্বালানি ধারণক্ষমতা ২৫ দিন থেকে বেড়ে দুই মাস পর্যন্ত বাড়বে। বেটার্মিনালের জন্য অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং ও ব্রেকওয়াটার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাংক ৫৯০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি নকশার কাজও শেষ হওয়ার পথে। এখন বে টার্মিনালের কাজের গুণগত মান ও খরচ প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বে টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২৪ ঘণ্টা বড় জাহাজ ভিড়ানো যাবে। কনটেইনার ও পণ্য খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া যাবে। এতে বন্দর ব্যবহারের খরচও কমবে বলে দাবি তাদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বেটার্মিনাল হলে প্রায় ১২ মিটার ড্রাফট (পানির ভেতরে থাকা জাহাজের অংশ) এবং যে কোনো দৈর্ঘের জাহাজ এখানে ভেড়ানো যাবে। যেখানে বর্তমানে চট্টগ্রামবন্দর জেটি-বার্থে সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট এবং ২০০ মিটার দৈর্ঘের জাহাজ ভিড়তে পারছে। এছাড়া বেটার্মিনালে একই সঙ্গে ভিড়তে পারবে ৩৫ থেকে ৫০টি জাহাজ। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল থেকে চট্টগ্রামবন্দর পরিচালনা করতে হলেও বে-টার্মিনালে এ জটিলতা থাকবে না। ফলে চট্টগ্রামবন্দরের জট অনেকাংশে কমে যাবে। খরচ কমে গতি আসবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। বেটার্মিনাল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বহুগুণ বাড়বে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নগরের পতেঙ্গা ও হালিশহর সমুদ্র উপকূলভাগে বিস্তীর্ণ ভূমি এবং সাগরঘেঁষে বেটার্মিনাল নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের বেটার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

বে টার্মিনালের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশিত : ০৮:৫০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

পতেঙ্গার সাগরপাড়ে ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০১ একর খাসজমি প্রতীকী মূল্যে পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পণ্য ও কনটেইনার ওঠানো-নামানোর এই টার্মিনালের জন্য তিন কোটি তিন টাকা সেলামি মূল্য জমা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনটি পৃথক চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো এই চিঠি আজ বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ বুঝে পেয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁষে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে এসব জায়গা বরাদ্দ দেয় সরকার।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই জমি বরাদ্দ দেবে। এর আগে ২০১৭ সালে ব্যক্তিমালিকানাধীন ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্দরকে দেয় জেলা প্রশাসন। নতুন বরাদ্দ পেলে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৬৮ একর। তবে প্রকল্পের জন্য আরও ৩০২ একর জমি দরকার। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাঠানো তিনটি চিঠি গত বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৫০১ একর খাসজমি বরাদ্দ পেতে ৩ কোটি ৩ টাকা সেলামি মূল্য জমা দিতে হবে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বন্দোবস্ত দলিল স্বাক্ষর হবে। চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, জমি বন্দোবস্তের জন্য টাকা জমা দেওয়া হবে।

এছাড়া প্রায় ৩০০ একর জমি বরাদ্দ পেতে প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার জানান, বেটার্মিনালের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি প্রতীকী মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে তিন মৌজায় এসব জমির জন্য নির্ধারিত ১ কোটি ১ টাকা করে ৩ কোটি ৩ টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় বেটার্মিনাল প্রকল্পে সরাসরি ৮০০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসতে পারে। বেটার্মিনাল প্রকল্পের দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে বঙ্গোপসাগরের রাসমণিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জমির ওপর বেটার্মিনাল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে চবকের যৌথ উদ্যোগে বহুমুখী টার্মিনালটি তৈরি করা হবে। আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বহুমুখী টার্মিনাল তৈরির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বেটার্মিনালের দুটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রত্যেকে ১৫০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান চবক চেয়ারম্যান। তেল-গ্যাস টার্মিনালের জন্য সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এটি তৈরি করবে। টার্মিনাল তৈরির পর দেশের জ্বালানি ধারণক্ষমতা ২৫ দিন থেকে বেড়ে দুই মাস পর্যন্ত বাড়বে। বেটার্মিনালের জন্য অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং ও ব্রেকওয়াটার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাংক ৫৯০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি নকশার কাজও শেষ হওয়ার পথে। এখন বে টার্মিনালের কাজের গুণগত মান ও খরচ প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বে টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২৪ ঘণ্টা বড় জাহাজ ভিড়ানো যাবে। কনটেইনার ও পণ্য খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া যাবে। এতে বন্দর ব্যবহারের খরচও কমবে বলে দাবি তাদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বেটার্মিনাল হলে প্রায় ১২ মিটার ড্রাফট (পানির ভেতরে থাকা জাহাজের অংশ) এবং যে কোনো দৈর্ঘের জাহাজ এখানে ভেড়ানো যাবে। যেখানে বর্তমানে চট্টগ্রামবন্দর জেটি-বার্থে সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট এবং ২০০ মিটার দৈর্ঘের জাহাজ ভিড়তে পারছে। এছাড়া বেটার্মিনালে একই সঙ্গে ভিড়তে পারবে ৩৫ থেকে ৫০টি জাহাজ। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল থেকে চট্টগ্রামবন্দর পরিচালনা করতে হলেও বে-টার্মিনালে এ জটিলতা থাকবে না। ফলে চট্টগ্রামবন্দরের জট অনেকাংশে কমে যাবে। খরচ কমে গতি আসবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। বেটার্মিনাল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বহুগুণ বাড়বে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নগরের পতেঙ্গা ও হালিশহর সমুদ্র উপকূলভাগে বিস্তীর্ণ ভূমি এবং সাগরঘেঁষে বেটার্মিনাল নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের বেটার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ