০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

চতুর্মুখী আন্দোলনে অচল শেকৃবি

সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষকরা। শিক্ষকদের পাশাপাশি এবার আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব বিভাগের ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে, সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীশূন্য থাকলেও বুধবার (৩ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্মুখী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে অবস্থান নেয় শিক্ষকরা। আন্দোলনে তাদের অনড় অবস্থান জানিয়ে তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এর আগে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তাদের দাবিগুলো হলো, ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।

এদিকে শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মানববন্ধন পালন করেছে। বেলা ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন কর্মকর্তারা। এছাড়া শেকৃবি কর্মচারী সমিতি পেনশন প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অর্ন্তভুক্তি বাতিল ও ইউজিসি কতৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির ডাকে প্রশাসনিক ভবনের নিচে বেলা ১২ টায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির মাঝেই কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা‌। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে প্রশাসনিক ভবন থেকে মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হয় তারা। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আজ কিছুসংখ্যক মানুষের স্বার্থের জন্য সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে একটা রায় দেয়া হয়েছে৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, ফলাফল আগামীকাল দিবে। যদি রায় জনগণের জন্য না হয় তাহলে আমরা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

চতুর্মুখী বিক্ষোভ কর্মসূচির ফলে ক্যাম্পাসে উত্তাল পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে কোন ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে একাডেমিক এলাকা ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের দপ্তরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ছাড়া বাকিগুলোয় কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

চতুর্মুখী আন্দোলনে অচল শেকৃবি

প্রকাশিত : ০৬:০৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সার্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষকরা। শিক্ষকদের পাশাপাশি এবার আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব বিভাগের ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে, সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীশূন্য থাকলেও বুধবার (৩ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্মুখী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে অবস্থান নেয় শিক্ষকরা। আন্দোলনে তাদের অনড় অবস্থান জানিয়ে তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এর আগে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তাদের দাবিগুলো হলো, ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।

এদিকে শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মানববন্ধন পালন করেছে। বেলা ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন কর্মকর্তারা। এছাড়া শেকৃবি কর্মচারী সমিতি পেনশন প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অর্ন্তভুক্তি বাতিল ও ইউজিসি কতৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির ডাকে প্রশাসনিক ভবনের নিচে বেলা ১২ টায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির মাঝেই কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা‌। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে প্রশাসনিক ভবন থেকে মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হয় তারা। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা আগারগাঁও-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আজ কিছুসংখ্যক মানুষের স্বার্থের জন্য সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে একটা রায় দেয়া হয়েছে৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, ফলাফল আগামীকাল দিবে। যদি রায় জনগণের জন্য না হয় তাহলে আমরা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

চতুর্মুখী বিক্ষোভ কর্মসূচির ফলে ক্যাম্পাসে উত্তাল পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে কোন ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে একাডেমিক এলাকা ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের দপ্তরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ছাড়া বাকিগুলোয় কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস