০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাকৃবিতে ছাত্রী-শিক্ষকের আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর মতে অভিযোগের বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এমন খবর ও প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে প্রতক্ষ্যদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে শফিকুল স্যারের সাথে একজন মেয়েকে দেখেছি। মেয়েটি স্যার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল।

দুইজন প্রায় আধা ঘন্টা থেকে ওইখান থেকে চলে যায়। আমি তাদের কোন আপত্তিকর অবস্থায় দেখেনি। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের সিসিটিভির ফুটেজের তথ্য মতে, সাড়ে সাতটার দিকে আম বাগান থেকে অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের গাড়িকে রোজী জামাল হলের দিকে আসতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. শফিকুল ইসলাম সাবু বলেন, ‘আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিলো, আমি তাকে হলগেটে পৌছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা একটু অ্যাবনরমাল টাইপের। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।’

জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়ে রোজী জামাল হলে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদ জানান, অভিযোগ কারী ছাত্রীর কোন অভিযোগপত্র বা স্বীকারক্তি হাতে পাই নি। এছাড়া গতকাল থেকে অভিযোগকারী ছাত্রী কিংবা গণমাধ্যমকর্মী আমার সাথে যোগাযোগও করে নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, এখন পর্যন্ত কোন প্রক্টর কার্যালয় থেকে কোন রিপোর্ট হাতে আসেনি। ঘটনা সত্যতা যাচাই করে বিচারের আওতায় আনা হবে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। এদিকে ভর্তির পর শিক্ষার্থীর একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক হিসেবে আছেন অধ্যাপক শফিকুল ।

ট্যাগ :

বাকৃবিতে ছাত্রী-শিক্ষকের আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়

প্রকাশিত : ০৬:০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর মতে অভিযোগের বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এমন খবর ও প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে প্রতক্ষ্যদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে শফিকুল স্যারের সাথে একজন মেয়েকে দেখেছি। মেয়েটি স্যার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল।

দুইজন প্রায় আধা ঘন্টা থেকে ওইখান থেকে চলে যায়। আমি তাদের কোন আপত্তিকর অবস্থায় দেখেনি। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের সিসিটিভির ফুটেজের তথ্য মতে, সাড়ে সাতটার দিকে আম বাগান থেকে অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের গাড়িকে রোজী জামাল হলের দিকে আসতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ড. শফিকুল ইসলাম সাবু বলেন, ‘আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিলো, আমি তাকে হলগেটে পৌছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা একটু অ্যাবনরমাল টাইপের। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।’

জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়ে রোজী জামাল হলে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদ জানান, অভিযোগ কারী ছাত্রীর কোন অভিযোগপত্র বা স্বীকারক্তি হাতে পাই নি। এছাড়া গতকাল থেকে অভিযোগকারী ছাত্রী কিংবা গণমাধ্যমকর্মী আমার সাথে যোগাযোগও করে নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, এখন পর্যন্ত কোন প্রক্টর কার্যালয় থেকে কোন রিপোর্ট হাতে আসেনি। ঘটনা সত্যতা যাচাই করে বিচারের আওতায় আনা হবে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। এদিকে ভর্তির পর শিক্ষার্থীর একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক হিসেবে আছেন অধ্যাপক শফিকুল ।