০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার হওয়া সেলিমের কিডনি অক্ষত: চিকিৎসক

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়াকে (৪৩) মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার থেকে পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের ধারণা আশ্রয়দাতারা অস্ত্রপচার করে সেলিমের কিডনি নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন শনিবার (১১ মে) ময়মনসিংহে বেসরকারি রাজধানী ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়।

রাজধানী ক্লিনিকের ডা. শহীদুল্লাহ (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) জানান, তার পেটে অস্ত্র পাচারের কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই। কিডনিও অক্ষত রয়েছে। সেলিম মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। বেপরোয়া চলা ফেরায় কোনোভাবে পড়ে গিয়ে হয়তো তার পেটে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। তবে পেট কাটা এবং সেলাই করার মতো কোনো আলামত নেই।

জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের দিনমজুর হাসিম উদ্দিনের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সেলিম গত পাঁচ মাস পূর্বে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। বাবার অভাব-অনটনের সংসারে তাকে খুঁজে পাওয়ার মতো আর্থিক কোনো সঙ্গতি তাদের নেই। সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের ভয়ংকর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ এবং কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির মতো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দেশব্যাপী এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আর ঠিক সেই মুহূর্তে সেলিমের স্বজনরা ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিমের ছবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে দেখতে পেয়ে মা-বাবাসহ তার স্বজনরা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। গত ৭ মে সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে গিয়ে তাকে চিনতে পারে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেলিম একটি নির্জন কুঁড়েঘরে শুয়ে আছে। এ সময় দেখা যায় ওই বাড়িতে সেলিমের স্বজনসহ এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ ভিড় জমিয়েছে সেলিমকে দেখার জন্য।

পরিবারের সঙ্গে কথা হলে সেলিমের মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমার ছেলের কিডনি নিয়ে গেছে ওই আশ্রয়দাতারা। সেলিম লোকজনকে দেখে নির্বাক তাকিয়ে থেকে ব্যথায় চিৎকার শুরু করে। এ সময় পরিবারসহ উপস্থিত লোকজন সেলিমের ওপর যারা এ অমানুষিক নিষ্ঠুরতার কাজ করেছে তাদের বিচার দাবি করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার হওয়া সেলিমের কিডনি অক্ষত: চিকিৎসক

প্রকাশিত : ০৯:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়াকে (৪৩) মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার থেকে পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের ধারণা আশ্রয়দাতারা অস্ত্রপচার করে সেলিমের কিডনি নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন শনিবার (১১ মে) ময়মনসিংহে বেসরকারি রাজধানী ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়।

রাজধানী ক্লিনিকের ডা. শহীদুল্লাহ (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) জানান, তার পেটে অস্ত্র পাচারের কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই। কিডনিও অক্ষত রয়েছে। সেলিম মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। বেপরোয়া চলা ফেরায় কোনোভাবে পড়ে গিয়ে হয়তো তার পেটে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। তবে পেট কাটা এবং সেলাই করার মতো কোনো আলামত নেই।

জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের দিনমজুর হাসিম উদ্দিনের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সেলিম গত পাঁচ মাস পূর্বে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। বাবার অভাব-অনটনের সংসারে তাকে খুঁজে পাওয়ার মতো আর্থিক কোনো সঙ্গতি তাদের নেই। সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের ভয়ংকর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ এবং কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির মতো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দেশব্যাপী এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আর ঠিক সেই মুহূর্তে সেলিমের স্বজনরা ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিমের ছবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে দেখতে পেয়ে মা-বাবাসহ তার স্বজনরা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। গত ৭ মে সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে গিয়ে তাকে চিনতে পারে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেলিম একটি নির্জন কুঁড়েঘরে শুয়ে আছে। এ সময় দেখা যায় ওই বাড়িতে সেলিমের স্বজনসহ এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ ভিড় জমিয়েছে সেলিমকে দেখার জন্য।

পরিবারের সঙ্গে কথা হলে সেলিমের মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমার ছেলের কিডনি নিয়ে গেছে ওই আশ্রয়দাতারা। সেলিম লোকজনকে দেখে নির্বাক তাকিয়ে থেকে ব্যথায় চিৎকার শুরু করে। এ সময় পরিবারসহ উপস্থিত লোকজন সেলিমের ওপর যারা এ অমানুষিক নিষ্ঠুরতার কাজ করেছে তাদের বিচার দাবি করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ