০১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে৷ কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলবো৷ এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারবো৷

বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে তিনি৷

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে৷ জুনে বাজেট শুরু হবে৷ আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদেরকে৷ আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা৷ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিস্কার না৷ এটা ‌যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত৷ যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত৷ খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কি প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা৷

তিনি বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না৷ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব৷ আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন; সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে৷ একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না৷ এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে৷

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷ প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন৷ প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদেরকে নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা৷ কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না৷ আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কিভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে৷ এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে৷

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি৷ হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলবো অথবা পুরোটা বাংলায় বলবো৷ আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়৷ আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত৷

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ০২:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে৷ কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলবো৷ এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারবো৷

বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে তিনি৷

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে৷ জুনে বাজেট শুরু হবে৷ আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদেরকে৷ আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা৷ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিস্কার না৷ এটা ‌যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত৷ যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত৷ খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কি প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা৷

তিনি বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না৷ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব৷ আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন; সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে৷ একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না৷ এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে৷

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷ প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন৷ প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদেরকে নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা৷ কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না৷ আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কিভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে৷ এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে৷

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি৷ হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলবো অথবা পুরোটা বাংলায় বলবো৷ আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়৷ আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত৷

বিজনেস বাংলাদেশ/একে