১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নির্বাচনের ফল বাতিল চাওয়ার কারণ জানালেন নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট করেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি রিট আবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।

এতদিন পর কেন এই রিট— এমন প্রসঙ্গে সেখান থেকে গণমাধ্যমে নিপুণ বললেন, ‘আরও আগেই করা উচিত ছিল। ভোট হয়েছে শুক্রবার। ভোটের ফল এসেছে শনিবার সকালে। রোববারই রিটটি করা দরকার ছিল। কিন্তু আমি অসুস্থ হয়ে পড়া এবং জরুরি কাজে যুক্তরাজ্য হয়ে আসার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। আমি আসার সময় সবকিছু প্রসেস করে রেখে এসেছিলাম। গত মঙ্গলবার আমার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটটি করেছি।’

শুধু ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগের দিন থেকেই মিশা-ডিপজল প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন আপিল বোর্ডের যোগসূত্রে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে নিপুণ বলেন, ‘ভোট শেষ হওয়ার পর তখন সন্ধ্যা ৭টা। তখন থেকেই নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথাবার্তা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খসরু ভাই বারবার আমাকে বলছিলেন, ‘এখানে বসে থেকে আর লাভ নেই। বাসায় চলে যান। মিশা-ডিপজল পুরো প্যানেল জয়লাভ করবে।’ আমি বারবার বলেছি, ‘হারজিত যাই হোক, ফল না নিয়ে এখান থেকে যাব না।’ তখনো পোর্টফোলিও ভোটের বাক্সই খোলেনি, কীভাবে চেয়ারম্যান এসব বলতে পারেন?

অভিনেত্রী বলেন, ‘ভোটের দিন সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে আমি বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আবার এফডিসিতে আসি। তখন রাত হয়তো ১০টা বাজে। তার আগেই আমার প্যানেল থেকে নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী সাদিয়া মির্জা আমাকে ফোন করে জানান, মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছেন তাকে। কারণ আগের দিন সাদিয়া ডিপজলের বিরুদ্ধে ভোট কেনার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমি এফডিসিতে ফেরার পর পরিবেশ ঘোলাটে দেখতে পাই।’

ভোট শেষে যখন ফলের অপেক্ষায় সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে নিপুণ বলেন, ‘যতই রাত বাড়ছিল, ততই ভোটকেন্দ্র ও বাইরের পরিবেশ আমার কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হচ্ছিল। সেদিনের এমন পরিবেশ আমি আগে কখনো দেখিনি এফডিসিতে। পুরো আঙিনা তারা দখলে নিয়েছিল। ভোটের গণনা শেষ হতে তখনো অনেক সময় বাকি ছিল, কিন্তু তাদের হাবভাবে মনে হচ্ছিল, তখনই তারা পুরো প্যানেল জিতে গেছে। আমি নিজেও নিরাপদ মনে করিনি ভোট গণনার পুরো রাত। তাই আমিসহ আমার প্যানেলের কয়েকজন এক নম্বর স্টুডিওর মেকাআপ রুমে তালা মেরে ভেতরে বসেছিলাম ভোটের ফল পর্যন্ত।’

ওই রাতের অনিয়মের অনেক কিছুই প্রমাণ হিসেবে তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১ ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০ ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।’

নিপুণ আরও বলেন, ‘আদালত তো আমাদের আস্থার জায়গা। যেসব ডকুমেন্টের ভিত্তিতে রিট করা হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি, নবনির্বাচিত কমিটি স্থগিত হবে। আমাদের পক্ষে রায় আসবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

নির্বাচনের ফল বাতিল চাওয়ার কারণ জানালেন নিপুণ

প্রকাশিত : ০৩:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট করেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি রিট আবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।

এতদিন পর কেন এই রিট— এমন প্রসঙ্গে সেখান থেকে গণমাধ্যমে নিপুণ বললেন, ‘আরও আগেই করা উচিত ছিল। ভোট হয়েছে শুক্রবার। ভোটের ফল এসেছে শনিবার সকালে। রোববারই রিটটি করা দরকার ছিল। কিন্তু আমি অসুস্থ হয়ে পড়া এবং জরুরি কাজে যুক্তরাজ্য হয়ে আসার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। আমি আসার সময় সবকিছু প্রসেস করে রেখে এসেছিলাম। গত মঙ্গলবার আমার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটটি করেছি।’

শুধু ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগের দিন থেকেই মিশা-ডিপজল প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন আপিল বোর্ডের যোগসূত্রে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে নিপুণ বলেন, ‘ভোট শেষ হওয়ার পর তখন সন্ধ্যা ৭টা। তখন থেকেই নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথাবার্তা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খসরু ভাই বারবার আমাকে বলছিলেন, ‘এখানে বসে থেকে আর লাভ নেই। বাসায় চলে যান। মিশা-ডিপজল পুরো প্যানেল জয়লাভ করবে।’ আমি বারবার বলেছি, ‘হারজিত যাই হোক, ফল না নিয়ে এখান থেকে যাব না।’ তখনো পোর্টফোলিও ভোটের বাক্সই খোলেনি, কীভাবে চেয়ারম্যান এসব বলতে পারেন?

অভিনেত্রী বলেন, ‘ভোটের দিন সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে আমি বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আবার এফডিসিতে আসি। তখন রাত হয়তো ১০টা বাজে। তার আগেই আমার প্যানেল থেকে নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী সাদিয়া মির্জা আমাকে ফোন করে জানান, মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছেন তাকে। কারণ আগের দিন সাদিয়া ডিপজলের বিরুদ্ধে ভোট কেনার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমি এফডিসিতে ফেরার পর পরিবেশ ঘোলাটে দেখতে পাই।’

ভোট শেষে যখন ফলের অপেক্ষায় সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে নিপুণ বলেন, ‘যতই রাত বাড়ছিল, ততই ভোটকেন্দ্র ও বাইরের পরিবেশ আমার কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হচ্ছিল। সেদিনের এমন পরিবেশ আমি আগে কখনো দেখিনি এফডিসিতে। পুরো আঙিনা তারা দখলে নিয়েছিল। ভোটের গণনা শেষ হতে তখনো অনেক সময় বাকি ছিল, কিন্তু তাদের হাবভাবে মনে হচ্ছিল, তখনই তারা পুরো প্যানেল জিতে গেছে। আমি নিজেও নিরাপদ মনে করিনি ভোট গণনার পুরো রাত। তাই আমিসহ আমার প্যানেলের কয়েকজন এক নম্বর স্টুডিওর মেকাআপ রুমে তালা মেরে ভেতরে বসেছিলাম ভোটের ফল পর্যন্ত।’

ওই রাতের অনিয়মের অনেক কিছুই প্রমাণ হিসেবে তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১ ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০ ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।’

নিপুণ আরও বলেন, ‘আদালত তো আমাদের আস্থার জায়গা। যেসব ডকুমেন্টের ভিত্তিতে রিট করা হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি, নবনির্বাচিত কমিটি স্থগিত হবে। আমাদের পক্ষে রায় আসবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে