০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকটে ঢাকায় সু চির মন্ত্রী কিও তিন্ত

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে ঢাকায় এসেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চির দপ্তরবিষয়ক মন্ত্রী কিও তিন্ত সোয়ে। রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ডিজি মঞ্জুরুল করিম। রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর সেখানকার পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র বলছে, মূলত এই বিষয়েই আলোচনার জন্য কিও তিন্তকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি সোমবারই (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন তৈরির কথাও বলা হয়।

এই ইস্যুতে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা ইতিমধ্যে নেপিদোকে সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি।

সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা বলা হচ্ছে; জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নিধন’।
এই নানামুখী চাপে থাকা মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুনের সঙ্গে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আলোচনা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা হয়, একইসঙ্গে কথা হয় সু চির প্রতিনিধি ঢাকায় পাঠানো নিয়েও। তারপরই মিয়ানমার সরকারের এই মন্ত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হলো।

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা সংকটে ঢাকায় সু চির মন্ত্রী কিও তিন্ত

প্রকাশিত : ১১:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে ঢাকায় এসেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চির দপ্তরবিষয়ক মন্ত্রী কিও তিন্ত সোয়ে। রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের ডিজি মঞ্জুরুল করিম। রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর সেখানকার পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র বলছে, মূলত এই বিষয়েই আলোচনার জন্য কিও তিন্তকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি সোমবারই (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন তৈরির কথাও বলা হয়।

এই ইস্যুতে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা ইতিমধ্যে নেপিদোকে সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি।

সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা বলা হচ্ছে; জাতিসংঘের ভাষায় ‘জাতিগত নিধন’।
এই নানামুখী চাপে থাকা মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুনের সঙ্গে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আলোচনা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা হয়, একইসঙ্গে কথা হয় সু চির প্রতিনিধি ঢাকায় পাঠানো নিয়েও। তারপরই মিয়ানমার সরকারের এই মন্ত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হলো।