০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিব্রতকর হার

প্রথম টেস্টে পচেফস্ট্রুমে হারে শুরু বাংলাদেশের। আশা নিয়ে শুরু করা দিন শেষ হল দুঃস্বপ্নে। তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে পেতে হল বিব্রতকর হারের স্বাদ। পুরো দিন কাটিয়ে দেওয়ার আশা নিয়ে নামা বাংলাদেশ টিকতে পারলো না এক সেশনও। বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পচেফস্ট্রুমে পঞ্চম দিনে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। আগের দিন ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ব্যাকফুটে থেকেই ব্যাট করছিল সফরকারীরা। সেই ভয়টাই শেষ পর্যন্ত পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। রাবাদার আক্রমণে শুরুতে বিপর্যস্ত হয়ে বাংলাদেশ ৪২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৯০ রানেই! প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ৩২০ রান। অথচ সেই বাংলাদেশই দ্বিতীয় ইনিংসে দিতে পারেনি কোনও প্রতিরোধ। প্রোটিয়াদের বোলিংয়ে বাংলাদেশ এতটাই অসহায় হয়ে পড়ে যে প্রথম সেশনেই ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় সফরকারী দল! সেই অসহায় বাংলাদেশের হারের ব্যবধানও ছিল বিশাল। এই টেস্টে বাংলাদেশ হারলো ৩৩৩ রানে। দিনের শুরুতে রাবাদার লাফিয়ে উঠা বলে স্লিপে আউট সাইড এজ হয়ে ফেরেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন মুশফিক। কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। সেই রাবাদার বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন দুই ওভারের মধ্যেই। রিয়াদ বিদায় নেন ৯ রানে। লিটন দাস নেমেও কিছু করতে পারেননি। আসা যাওয়ার মিছিলে এবার যোগ হন তিনি। রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিলেও বেঁচে যাওয়ার সুযোগটাও পাননি। এরপর মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাব্বির। এরপর ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। একে একে লেজ ছেঁটে ফেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। বিদায় নেন তাসকিন ও শফিউল তাসকিন মহারাজের স্পিনে এলবিডব্লিউতে ঘায়েল হলেও রানআউট হন শফিউল। এরপর কিছুক্ষণ মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মহারাজ মোস্তাফিজকে ফিরতি বলে তালুবন্দী করলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মহারাজ। আর ৩ উইকেট নেন দিনের শুরুর দিকে ধস নামানো রাবাদা। আগের দিন দুটি নেন মরকেল। আগের দিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে ত্রাস ছড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেল। আর সেই পেসারই রয়েছেন ইনজুরিতে। আজকে তিনি মাঠে নামেননি। তার জায়গা বদলি হয়েছেন পারনেল। সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়েছেন প্রোটিয়া এই পেসার। এই অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টেও মরকেল থাকবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। চতুর্থ দিনের শেষ দিকে শুরুর দিকে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নেন মরকেল। মুশফিককেও বোল্ড করেছিলেন। কিন্তু নো বল হওয়াতেই রক্ষা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তামিমকে দুর্দান্ত এক বলে করেন বোল্ড। শেষ বলে মুমিনুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লেগ স্টাম্প মিস করেছিল। পরের ওভারে মুশফিকের মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু অবৈধ ডেলিভারি হওয়াতে উইকেটটি আর পাননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারেই মাঠ ছেড়ে যান মরকেল। এরপর মহারাজের স্পিনে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৩২)। বাংলাদেশ সর্বশেষ এক শ রানের নিচে অলআউট হয়েছিল ২০০৭ সালে। পি সারায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৬২ রানে। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড এটি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার মাঠে শত রানের নিচে অলআউট হওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। পি সারার সে ম্যাচের আগের সপ্তাহেই এসএসসিতে ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটিও শ্রীলঙ্কার মাঠে। ২০০৫ সালে প্রেমাদাসায় ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এ নিয়ে নয়বার এক শ রানের নিচে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। এর মাঝে দুবারই দেশের মাঠে। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই ৯১ রানে অলআউট হয়ে ক্রিকেটের অভিজাত শ্রেণিতে আবির্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশের। আর ২০০২ সালে জার্মেইন লসনের ভয়ংকর এক স্পেলে মাত্র ৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। হাবিবুল বাশার-খালেদ মাসুদরা সেদিন অলআউট হয়েছিলেন ৮৭ রানে। দলের এই পারফরম্যান্সে মুশফিকের মুখে স্বাভাবিকভাবেই হতাশার আঁকিবুঁকি, ‘সর্বশেষ বাংলাদেশ এমন ব্যাটিং করেছে কবে, ভুলেই গিয়েছি! খুবই খারাপ লাগছে। অনেকভাবে হারা যায়। আমাদের অন্তত দুই সেশন খেলার সামর্থ্য ছিল। আরেকটি সুযোগ আছে পরের টেস্টে। দুর্দান্তভাবে এগোতে হবে। না হলে এমন লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারব না।’ পচেফস্ট্রুমে বাজে খেলায় ক্ষমা চাইলেও ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে শুরু সিরিজের শেষ টেস্টে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা মুশফিকের, ‘এখনো মনে করি, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা তাঁদের দক্ষতা দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে আমি খুবই হতাশ, ভীষণ খারাপ লাগছে। অন্তত লড়াই তো করতে পারতাম। ক্ষমা চাইছি জাতির কাছে। আমাদের পরের টেস্টে ভালো করা দরকার। আশা করি, পরের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে পারব আমরা।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (এলগার ১৯৯, আমলা ১৩৭) ডি. ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৭/৬ ডি. (বাভুমা১১১১৭১, ডু প্লেসিস ৮১; মুমিনুল ৩/২৭)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩২০/১০ (মুমিনুল ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৬; মহারাজ ৩/৯২) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৯০/১০ (কায়েস ৩২; মহারাজ ৪/২৫)

ট্যাগ :

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিব্রতকর হার

প্রকাশিত : ১১:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০১৭

প্রথম টেস্টে পচেফস্ট্রুমে হারে শুরু বাংলাদেশের। আশা নিয়ে শুরু করা দিন শেষ হল দুঃস্বপ্নে। তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে পেতে হল বিব্রতকর হারের স্বাদ। পুরো দিন কাটিয়ে দেওয়ার আশা নিয়ে নামা বাংলাদেশ টিকতে পারলো না এক সেশনও। বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পচেফস্ট্রুমে পঞ্চম দিনে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। আগের দিন ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ব্যাকফুটে থেকেই ব্যাট করছিল সফরকারীরা। সেই ভয়টাই শেষ পর্যন্ত পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। রাবাদার আক্রমণে শুরুতে বিপর্যস্ত হয়ে বাংলাদেশ ৪২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৯০ রানেই! প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ৩২০ রান। অথচ সেই বাংলাদেশই দ্বিতীয় ইনিংসে দিতে পারেনি কোনও প্রতিরোধ। প্রোটিয়াদের বোলিংয়ে বাংলাদেশ এতটাই অসহায় হয়ে পড়ে যে প্রথম সেশনেই ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় সফরকারী দল! সেই অসহায় বাংলাদেশের হারের ব্যবধানও ছিল বিশাল। এই টেস্টে বাংলাদেশ হারলো ৩৩৩ রানে। দিনের শুরুতে রাবাদার লাফিয়ে উঠা বলে স্লিপে আউট সাইড এজ হয়ে ফেরেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন মুশফিক। কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। সেই রাবাদার বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন দুই ওভারের মধ্যেই। রিয়াদ বিদায় নেন ৯ রানে। লিটন দাস নেমেও কিছু করতে পারেননি। আসা যাওয়ার মিছিলে এবার যোগ হন তিনি। রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিলেও বেঁচে যাওয়ার সুযোগটাও পাননি। এরপর মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাব্বির। এরপর ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। একে একে লেজ ছেঁটে ফেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। বিদায় নেন তাসকিন ও শফিউল তাসকিন মহারাজের স্পিনে এলবিডব্লিউতে ঘায়েল হলেও রানআউট হন শফিউল। এরপর কিছুক্ষণ মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মহারাজ মোস্তাফিজকে ফিরতি বলে তালুবন্দী করলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মহারাজ। আর ৩ উইকেট নেন দিনের শুরুর দিকে ধস নামানো রাবাদা। আগের দিন দুটি নেন মরকেল। আগের দিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে ত্রাস ছড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেল। আর সেই পেসারই রয়েছেন ইনজুরিতে। আজকে তিনি মাঠে নামেননি। তার জায়গা বদলি হয়েছেন পারনেল। সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়েছেন প্রোটিয়া এই পেসার। এই অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টেও মরকেল থাকবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। চতুর্থ দিনের শেষ দিকে শুরুর দিকে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নেন মরকেল। মুশফিককেও বোল্ড করেছিলেন। কিন্তু নো বল হওয়াতেই রক্ষা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তামিমকে দুর্দান্ত এক বলে করেন বোল্ড। শেষ বলে মুমিনুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লেগ স্টাম্প মিস করেছিল। পরের ওভারে মুশফিকের মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু অবৈধ ডেলিভারি হওয়াতে উইকেটটি আর পাননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারেই মাঠ ছেড়ে যান মরকেল। এরপর মহারাজের স্পিনে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৩২)। বাংলাদেশ সর্বশেষ এক শ রানের নিচে অলআউট হয়েছিল ২০০৭ সালে। পি সারায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৬২ রানে। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড এটি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার মাঠে শত রানের নিচে অলআউট হওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। পি সারার সে ম্যাচের আগের সপ্তাহেই এসএসসিতে ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটিও শ্রীলঙ্কার মাঠে। ২০০৫ সালে প্রেমাদাসায় ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এ নিয়ে নয়বার এক শ রানের নিচে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। এর মাঝে দুবারই দেশের মাঠে। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই ৯১ রানে অলআউট হয়ে ক্রিকেটের অভিজাত শ্রেণিতে আবির্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশের। আর ২০০২ সালে জার্মেইন লসনের ভয়ংকর এক স্পেলে মাত্র ৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। হাবিবুল বাশার-খালেদ মাসুদরা সেদিন অলআউট হয়েছিলেন ৮৭ রানে। দলের এই পারফরম্যান্সে মুশফিকের মুখে স্বাভাবিকভাবেই হতাশার আঁকিবুঁকি, ‘সর্বশেষ বাংলাদেশ এমন ব্যাটিং করেছে কবে, ভুলেই গিয়েছি! খুবই খারাপ লাগছে। অনেকভাবে হারা যায়। আমাদের অন্তত দুই সেশন খেলার সামর্থ্য ছিল। আরেকটি সুযোগ আছে পরের টেস্টে। দুর্দান্তভাবে এগোতে হবে। না হলে এমন লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারব না।’ পচেফস্ট্রুমে বাজে খেলায় ক্ষমা চাইলেও ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে শুরু সিরিজের শেষ টেস্টে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা মুশফিকের, ‘এখনো মনে করি, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা তাঁদের দক্ষতা দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে আমি খুবই হতাশ, ভীষণ খারাপ লাগছে। অন্তত লড়াই তো করতে পারতাম। ক্ষমা চাইছি জাতির কাছে। আমাদের পরের টেস্টে ভালো করা দরকার। আশা করি, পরের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে পারব আমরা।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (এলগার ১৯৯, আমলা ১৩৭) ডি. ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৭/৬ ডি. (বাভুমা১১১১৭১, ডু প্লেসিস ৮১; মুমিনুল ৩/২৭)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩২০/১০ (মুমিনুল ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৬; মহারাজ ৩/৯২) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৯০/১০ (কায়েস ৩২; মহারাজ ৪/২৫)