০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ খেতাব হারাচ্ছে সু চি

গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৯৭ সালে বিশ্বসেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মাননা লাভ করেছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। সোমবার ‘অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল’ জানায় ‘সু চি আর এই সম্মান ধারণের উপযুক্ত নন’। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় প্রাণ বাঁচাতে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা নিয়ে নীরব ভ‚মিকার কারণে এই সম্মান হারাতে যাচ্ছেন সু চি। সামরিক বাহিনীর শাসনে নিমজ্জিত থাকা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে সু চি, গৃহবন্দি জীবন কাটিয়েছেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি জয় লাভ করলে সু চি বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং স্বাধীনতাকামী মানুষের নেতায় পরিণত হন। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে হাজারো রোহিঙ্গার মৃত্যৃতে সু চির নিরবতা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে। অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের নেতা বব প্রাইস সু চি’র ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে সকলের সমর্থন আদায় করছেন এবং এটিকে ‘অভ‚তপূর্ব পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরসেইন্ট হিউস কলেজ থেকে সু চির একটি ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে এই কলেজ থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন সু চি। ১৯৯৯ সালে সেই কলেজের প্রবেশ পথে তার ছবি টাঙানো হয়।

ট্যাগ :

‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ খেতাব হারাচ্ছে সু চি

প্রকাশিত : ১২:০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭

গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৯৭ সালে বিশ্বসেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মাননা লাভ করেছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। সোমবার ‘অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল’ জানায় ‘সু চি আর এই সম্মান ধারণের উপযুক্ত নন’। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় প্রাণ বাঁচাতে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা নিয়ে নীরব ভ‚মিকার কারণে এই সম্মান হারাতে যাচ্ছেন সু চি। সামরিক বাহিনীর শাসনে নিমজ্জিত থাকা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে সু চি, গৃহবন্দি জীবন কাটিয়েছেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি জয় লাভ করলে সু চি বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং স্বাধীনতাকামী মানুষের নেতায় পরিণত হন। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে হাজারো রোহিঙ্গার মৃত্যৃতে সু চির নিরবতা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে। অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের নেতা বব প্রাইস সু চি’র ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে সকলের সমর্থন আদায় করছেন এবং এটিকে ‘অভ‚তপূর্ব পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরসেইন্ট হিউস কলেজ থেকে সু চির একটি ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে এই কলেজ থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন সু চি। ১৯৯৯ সালে সেই কলেজের প্রবেশ পথে তার ছবি টাঙানো হয়।