০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দুর্নীতি দমনের এখন উপযুক্ত সময়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মূল শক্তি হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাদের কেউ কেউ এতদিন শীতনিদ্রায় ছিলেন। তবে আজকে আমার মনে হচ্ছে তাদের অনেককেই বৃত্তের বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছি। সবাই এখন কর্মব্যস্ত। , দুর্নীতি দমনে এখন উপযুক্ত সময়। মঙ্গলবার ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস এ্যান্ড ক্রাইম এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই দিনের দ্বি-পাক্ষিক সমাপনী আলোচনা অনুষ্ঠিানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বিশেষ করে কেবিনেট ডিভিশন কমিশনকে সকল বিষয়েই সহযোগিতা করছে। স¤প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে কমিশন মনে করে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কাজে কিছুটা উদ্ভাবনী অভিগমন থাকলেও তদন্ত কিংবা প্রসিকিউসনে উদ্ভাবনী চিন্তা নেই বললেই চলে। প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনে অভিযোগের তদন্ত এবং অনুসন্ধান সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের তদন্ত বা অনুসন্ধানে নতুন পদ্ধতি সংযোজনের সময় এসেছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের ধরে ধরে জেলখানায় পাঠানোই তদন্ত হতে পারে না। বরং কেন দুর্নীতি ঘটছে তাও তদন্ত প্রতিবেদনে থাকা উচিৎ। এতে সমাজে বোধ সৃষ্টি হতো, দেশে দুর্নীতির কারণ উন্মোচিত হতো। সুশাসনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের পথ সুগম হতো এবং দুর্নীতি বন্ধ করা যেত। তিনি বলেন ইউএনওডিসির সঙ্গে সম্পর্ক এখানেই শেষ নয় বরং সম্পর্ক শুরু। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার নিকট আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা চাই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এ্যান্টি-করাপশন এডভাইজার জোরানা মার্কোভিস বলেন, কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কের শুভ সূচনা হলো। জ্ঞান বিনিময়, উত্তম চর্চা এবং বিভিন্ন প্রকাশনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক প্রস্তাব পাওয়া গেলে এজাতীয় প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞদের দুদকে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর আগে সংস্থাটির সঙ্গে কমিশনের ৬টি অনুবিভাগের আলাদা আলাদা বৈঠক হয়। কমিশনের প্রশাসন, তদন্ত, বিশেষ তদন্ত, মানি লন্ডারিং, লিগ্যাল ও প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালকগণ প্রতিটি অনুবিভাগের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে প্রতিটি অনুবিভাগ তাদের কার্যক্রম, বাস্তবায়ন পদ্ধতি, কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

ট্যাগ :

দুর্নীতি দমনের এখন উপযুক্ত সময়

প্রকাশিত : ১২:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মূল শক্তি হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাদের কেউ কেউ এতদিন শীতনিদ্রায় ছিলেন। তবে আজকে আমার মনে হচ্ছে তাদের অনেককেই বৃত্তের বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছি। সবাই এখন কর্মব্যস্ত। , দুর্নীতি দমনে এখন উপযুক্ত সময়। মঙ্গলবার ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস এ্যান্ড ক্রাইম এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই দিনের দ্বি-পাক্ষিক সমাপনী আলোচনা অনুষ্ঠিানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বিশেষ করে কেবিনেট ডিভিশন কমিশনকে সকল বিষয়েই সহযোগিতা করছে। স¤প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে কমিশন মনে করে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কাজে কিছুটা উদ্ভাবনী অভিগমন থাকলেও তদন্ত কিংবা প্রসিকিউসনে উদ্ভাবনী চিন্তা নেই বললেই চলে। প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনে অভিযোগের তদন্ত এবং অনুসন্ধান সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের তদন্ত বা অনুসন্ধানে নতুন পদ্ধতি সংযোজনের সময় এসেছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের ধরে ধরে জেলখানায় পাঠানোই তদন্ত হতে পারে না। বরং কেন দুর্নীতি ঘটছে তাও তদন্ত প্রতিবেদনে থাকা উচিৎ। এতে সমাজে বোধ সৃষ্টি হতো, দেশে দুর্নীতির কারণ উন্মোচিত হতো। সুশাসনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের পথ সুগম হতো এবং দুর্নীতি বন্ধ করা যেত। তিনি বলেন ইউএনওডিসির সঙ্গে সম্পর্ক এখানেই শেষ নয় বরং সম্পর্ক শুরু। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার নিকট আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা চাই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এ্যান্টি-করাপশন এডভাইজার জোরানা মার্কোভিস বলেন, কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কের শুভ সূচনা হলো। জ্ঞান বিনিময়, উত্তম চর্চা এবং বিভিন্ন প্রকাশনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক প্রস্তাব পাওয়া গেলে এজাতীয় প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞদের দুদকে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর আগে সংস্থাটির সঙ্গে কমিশনের ৬টি অনুবিভাগের আলাদা আলাদা বৈঠক হয়। কমিশনের প্রশাসন, তদন্ত, বিশেষ তদন্ত, মানি লন্ডারিং, লিগ্যাল ও প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালকগণ প্রতিটি অনুবিভাগের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে প্রতিটি অনুবিভাগ তাদের কার্যক্রম, বাস্তবায়ন পদ্ধতি, কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।