০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ওবামা ও বুশ

ওয়াশিংটন: সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জর্জ ডব্লু বুশ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রচ্ছন্নভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন।
‘বিভাজন’ ও ‘শঙ্কার’ রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করার ওবামা আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, জনজীবনে ‘গুন্ডামি ও কুসংস্কারের’ সমালোচনা করেছেন বুশ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাম উল্লেখ না করে তারা আলাদাভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। প্রাক্তন এই রাষ্ট্রনায়করা তাদের উত্তরাধিকারী ট্রাম্প সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
তবে ট্রাম্প তার দুই পূর্বসূরিদের সমালোচনা সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
ওবামাকেয়ার বাতিলে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা এবং প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়া এবং বিতর্কিত ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’র পর থেকেই ওবামা তার নীরবতা ভাঙেন।
নিউইয়র্ককের নিউজার্সিতে ডেমোক্রেটিকদের একটি অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, বিশ্বের কাছে আমেরিকানদের বার্তা পাঠাতে হবে যে আমরা একটি ‘বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা একটি শঙ্কার রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান করছি’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সেই একই বিভাজনের পুরানো রাজনীতি ভাগাভাগি করতে পারি না; যা আমরা বহুবার আগে দেখেছি।’
ওবামা বলেন, ‘বর্তমানে রাজনীতি দেখে মনে হচ্ছে আমরা বিছানায় পড়ে আছি। সেখানে শুয়ে লোকেরা ৫০ বছর আগের রাজনীতি দেখছে। এটা ২১ শতক নয়, ১৯ শতক নয়।’
নিউইয়র্কে আলাদা এক অনুষ্ঠানে বুশ বলেন, ‘গোঁড়ামিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং পুরাদস্তুর মিথ্যার জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থণের তীব্রতা হ্রাস পাওয়ার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে – বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয়তাবাদকে নৃতাত্ত্বিকতায় বিকৃত করতে দেখেছি। অভিবাসন সর্বদা আমেরিকাতে গতিশীলতা নিয়ে এসেছে- তা ভুলে যাওয়া হচ্ছে।’
সাবেক এই প্রেসিডেন্টদ্বয় এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের নীতিগুলো সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন।
গত বছর তার নির্বাচনের আগে ওবামা এবং বুশ উভয়ের সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তাদের প্রত্যেককে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত ‘সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে অবহিত করেছিলেন ট্রাম্প।

ট্যাগ :

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ওবামা ও বুশ

প্রকাশিত : ০৮:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭

ওয়াশিংটন: সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জর্জ ডব্লু বুশ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রচ্ছন্নভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন।
‘বিভাজন’ ও ‘শঙ্কার’ রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করার ওবামা আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, জনজীবনে ‘গুন্ডামি ও কুসংস্কারের’ সমালোচনা করেছেন বুশ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাম উল্লেখ না করে তারা আলাদাভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। প্রাক্তন এই রাষ্ট্রনায়করা তাদের উত্তরাধিকারী ট্রাম্প সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
তবে ট্রাম্প তার দুই পূর্বসূরিদের সমালোচনা সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
ওবামাকেয়ার বাতিলে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা এবং প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়া এবং বিতর্কিত ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’র পর থেকেই ওবামা তার নীরবতা ভাঙেন।
নিউইয়র্ককের নিউজার্সিতে ডেমোক্রেটিকদের একটি অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, বিশ্বের কাছে আমেরিকানদের বার্তা পাঠাতে হবে যে আমরা একটি ‘বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা একটি শঙ্কার রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান করছি’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সেই একই বিভাজনের পুরানো রাজনীতি ভাগাভাগি করতে পারি না; যা আমরা বহুবার আগে দেখেছি।’
ওবামা বলেন, ‘বর্তমানে রাজনীতি দেখে মনে হচ্ছে আমরা বিছানায় পড়ে আছি। সেখানে শুয়ে লোকেরা ৫০ বছর আগের রাজনীতি দেখছে। এটা ২১ শতক নয়, ১৯ শতক নয়।’
নিউইয়র্কে আলাদা এক অনুষ্ঠানে বুশ বলেন, ‘গোঁড়ামিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং পুরাদস্তুর মিথ্যার জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থণের তীব্রতা হ্রাস পাওয়ার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে – বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয়তাবাদকে নৃতাত্ত্বিকতায় বিকৃত করতে দেখেছি। অভিবাসন সর্বদা আমেরিকাতে গতিশীলতা নিয়ে এসেছে- তা ভুলে যাওয়া হচ্ছে।’
সাবেক এই প্রেসিডেন্টদ্বয় এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের নীতিগুলো সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন।
গত বছর তার নির্বাচনের আগে ওবামা এবং বুশ উভয়ের সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তাদের প্রত্যেককে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত ‘সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে অবহিত করেছিলেন ট্রাম্প।