০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না, শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। আজ শনিবার ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম কিছুটা বেড়েছে। তবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে যে ছিনতাই হয়েছে সেটি সেপ্টেম্বরে আরও কমে এসেছে। আর অক্টোবরে সেটি এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা পুলিশের কাজ না। পুলিশ দেশের মানুষের নিরাপত্তা, সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমাদের পুলিশের কনস্টেবল নায়েক, ও হাবিলদার তাদের মধ্যে অনেকে সন্তান আছে মেধাবী। আর্থিক অভাবে তাদের সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়াতে পারছে না। বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হলো।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, আমাদেরি পুলিশের সন্তান ঐশি। তার কথা সবাই জানে। তোমরা ঠিক মতো পড়ালেখা করবে। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে কখনও মিশবে না। ইন্টারনেটের খারাপ কোনো সাইটে ঢুববে না। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সকলের প্রচেষ্ঠায় আমরা শিক্ষাবৃত্তিকে বাস্তব রূপ দিতে পেরেছি।  ডিএমপি’র ৩৪ হাজার সদস্যের অধিকাংশ নিম্নপদস্থ হওয়ায় তাদের বেতন অনেক কম। কম বেতনে নিজের পরিবারের খরচ মিটিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। আমরা জানি তাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী; কিন্তু তাদের আর্থিক সমস্যার কারণে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। তাদের সহায়তা করার জন্য এ শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের সন্তানেরা অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না। এই শিক্ষাবৃত্তিকে চলমান রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করবো। যাতে করে যুগ যুগ এই বৃত্তি চলমান থাকে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান প্রমুখ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ডিএমপি’র ৪৩ বছরের ইতিহাসে শিক্ষাবৃত্তি একটি মাইল ফলক। আমরা হয়তো থাকবো না; কিন্তু এই শিক্ষাবৃত্তি আর বন্ধ হবে না। চলমান থাকবে। যতদিন যাবে এই ফান্ডের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, ডিএমপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার দীর্ঘদিন পরে এই প্রথম চালু হল ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি। এই শিক্ষাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

প্রসঙ্গত, ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তিতে তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯১৫জন আবেদন করেন। আবেদনপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ৬৫৯জনকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়

ট্যাগ :

লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না, শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ০৫:১৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭

রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। আজ শনিবার ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম কিছুটা বেড়েছে। তবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে যে ছিনতাই হয়েছে সেটি সেপ্টেম্বরে আরও কমে এসেছে। আর অক্টোবরে সেটি এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা পুলিশের কাজ না। পুলিশ দেশের মানুষের নিরাপত্তা, সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমাদের পুলিশের কনস্টেবল নায়েক, ও হাবিলদার তাদের মধ্যে অনেকে সন্তান আছে মেধাবী। আর্থিক অভাবে তাদের সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়াতে পারছে না। বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হলো।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, আমাদেরি পুলিশের সন্তান ঐশি। তার কথা সবাই জানে। তোমরা ঠিক মতো পড়ালেখা করবে। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে কখনও মিশবে না। ইন্টারনেটের খারাপ কোনো সাইটে ঢুববে না। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সকলের প্রচেষ্ঠায় আমরা শিক্ষাবৃত্তিকে বাস্তব রূপ দিতে পেরেছি।  ডিএমপি’র ৩৪ হাজার সদস্যের অধিকাংশ নিম্নপদস্থ হওয়ায় তাদের বেতন অনেক কম। কম বেতনে নিজের পরিবারের খরচ মিটিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। আমরা জানি তাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী; কিন্তু তাদের আর্থিক সমস্যার কারণে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। তাদের সহায়তা করার জন্য এ শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের সন্তানেরা অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না। এই শিক্ষাবৃত্তিকে চলমান রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করবো। যাতে করে যুগ যুগ এই বৃত্তি চলমান থাকে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান প্রমুখ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ডিএমপি’র ৪৩ বছরের ইতিহাসে শিক্ষাবৃত্তি একটি মাইল ফলক। আমরা হয়তো থাকবো না; কিন্তু এই শিক্ষাবৃত্তি আর বন্ধ হবে না। চলমান থাকবে। যতদিন যাবে এই ফান্ডের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, ডিএমপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার দীর্ঘদিন পরে এই প্রথম চালু হল ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি। এই শিক্ষাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

প্রসঙ্গত, ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তিতে তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯১৫জন আবেদন করেন। আবেদনপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ৬৫৯জনকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়