০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

খালেদা রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন: হাছান মাহমুদ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অনেক অনুনয়-বিনয় করে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে দেখা করা সুযোগ পেয়েছেন। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে অনেক অনুনয়-বিনয় করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। সেটাও আবার তার কার্যালয়ে নয়, একটি হোটেলে। এতেই বোঝা যায় তিনি (খালেদা) কেমন রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি দ্বৈতনীতির রাজনীতি করে এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, সারাজীবন বিএনপি ভারতবিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু যখন নির্বাচনের সময় আসে এবং কোনো সমস্যায় পড়ে তখন তাদের মধ্যে ভারতপ্রীতি দেখা দেয়। আমি তাদেরকে বলবো, দয়া করে এই দ্বৈতনীতি বন্ধ করুন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশে যখন হাওরে দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল তখন এবং রোহিঙ্গা সংকটের সময় বিএনপির নেত্রী দেশে না এসে লন্ডনে বসে ছিলেন। কিন্তু ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে আসার খবর পেয়ে তিনি দেশে চলে আসলেন। কোনোভাবে তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সুষমা স্বরাজ তাকে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতেও যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তার অধিনেই জাতীয় নির্বাচন হয়ে থাকে। খালেদা জিয়া জবাব পেয়ে গেছেন।

এসময় তিনি জানান বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকারের অধিনেই সংবিধান অনুযায়ী হবে। এই সরকারই নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্ব্যর্থহীনভাবে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে বিশ্ববাসী আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা অতীতেও বাংলাদেশে অনেকবার দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার মিয়ানমারকে বিশ্ববাসী যত চাপ প্রয়োগ করছে অতীতে তা কখনও করেনি। সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

ট্যাগ :

খালেদা রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত : ০৩:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অনেক অনুনয়-বিনয় করে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে দেখা করা সুযোগ পেয়েছেন। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে অনেক অনুনয়-বিনয় করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। সেটাও আবার তার কার্যালয়ে নয়, একটি হোটেলে। এতেই বোঝা যায় তিনি (খালেদা) কেমন রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি দ্বৈতনীতির রাজনীতি করে এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, সারাজীবন বিএনপি ভারতবিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু যখন নির্বাচনের সময় আসে এবং কোনো সমস্যায় পড়ে তখন তাদের মধ্যে ভারতপ্রীতি দেখা দেয়। আমি তাদেরকে বলবো, দয়া করে এই দ্বৈতনীতি বন্ধ করুন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশে যখন হাওরে দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল তখন এবং রোহিঙ্গা সংকটের সময় বিএনপির নেত্রী দেশে না এসে লন্ডনে বসে ছিলেন। কিন্তু ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে আসার খবর পেয়ে তিনি দেশে চলে আসলেন। কোনোভাবে তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সুষমা স্বরাজ তাকে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতেও যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তার অধিনেই জাতীয় নির্বাচন হয়ে থাকে। খালেদা জিয়া জবাব পেয়ে গেছেন।

এসময় তিনি জানান বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকারের অধিনেই সংবিধান অনুযায়ী হবে। এই সরকারই নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্ব্যর্থহীনভাবে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে বিশ্ববাসী আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা অতীতেও বাংলাদেশে অনেকবার দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার মিয়ানমারকে বিশ্ববাসী যত চাপ প্রয়োগ করছে অতীতে তা কখনও করেনি। সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।