০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

হাটহাজারী থানাকে দিয়াজ হত্যা মামলা এজাহার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ আদালতের

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিহত দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মায়ের মামলা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদলত।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুর এ আলম শুনানি শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হাটহাজারী থানাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

দিয়াজের মা জাহেদা আমিনের আইনজীবী আবু হানিফ বলেন, এর আগে একই আবেদন করা হলে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তা নামঞ্জুর করেছিলেন। আবারও একটি আবেদন করলে সোমবার আদালতে শুনানী শেষে হাটহাজারী থানাকে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে এজাহার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বক্তব্য দিলেও শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে সেটি প্রত্যাখান করে দিয়াজের পরিবার।

২৪ নভেম্বর আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে চবির এক সহকারী প্রক্টর ও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

এর পর আদালতের নির্দেশে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্ত পাওয়া সিআইডি চলতি বছরের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পায়। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যু আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধজনিত বলে উল্লেখ করা হয়। ২ আগস্ট ময়নাতদন্ত এবং তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

হাটহাজারী থানাকে দিয়াজ হত্যা মামলা এজাহার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ আদালতের

প্রকাশিত : ০৮:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিহত দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মায়ের মামলা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদলত।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুর এ আলম শুনানি শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হাটহাজারী থানাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

দিয়াজের মা জাহেদা আমিনের আইনজীবী আবু হানিফ বলেন, এর আগে একই আবেদন করা হলে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তা নামঞ্জুর করেছিলেন। আবারও একটি আবেদন করলে সোমবার আদালতে শুনানী শেষে হাটহাজারী থানাকে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে এজাহার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বক্তব্য দিলেও শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে সেটি প্রত্যাখান করে দিয়াজের পরিবার।

২৪ নভেম্বর আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে চবির এক সহকারী প্রক্টর ও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

এর পর আদালতের নির্দেশে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্ত পাওয়া সিআইডি চলতি বছরের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পায়। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যু আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধজনিত বলে উল্লেখ করা হয়। ২ আগস্ট ময়নাতদন্ত এবং তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।