০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শাকিবের জানা-অজানা তথ্য

টালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান জন্মগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারী দপ্তরের সামান্য কর্মচারী এবং মাতা গৃহিণী। যদিও শাকিব খানের দাবি তার বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। নিজেকে ঢাকাই ছবির কিং খান দাবি করলেও তিনি বলিউডের খানদের মত বংশগত খান নন, বরং চলচ্চিত্রের স্বার্থে রাখা নকল নাম শাকিব খান। একবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপক আরজে নিরব শাকিব খানকে তার পিতার নামের সাথে খান আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষেপে যান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই।

শাকিব খান একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা ছায়াছবির মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। কিন্তু ছবিটি তাকে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য না করলেও কয়েক বছর পরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ বেতনভোগী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শাকিব ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না এবং ২০১২ সালে খোদার পরে মা ছবির জন্য দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।

“ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হব। কারণ আমি সাইন্সের ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। বাকী অপশনটি আমার মধ্যে কাজ করত তা হলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এই পেশাটিও আমার খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।

অভিনয় জীবনে শাকিব দুই বাংলার একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি অভিনয় করেন বিখ্যাত নায়ক মান্না, রিয়াজ, রাজ্জাক, আমিন খান, আলমগীর, বাপ্পারাজ, বুলবুল আহমেদসহ আরো অনেকের সাথে।

আবুল খায়ের বুলবুলের পরিচালনায় শাকিব খানের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। তার অভিনীত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। ছবিতে তার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের আরেক অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। যদিও তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ ছবির মাধ্যমে। ছবিতে তার নাম ছিল ‘মশাল’।

ছবি হিসেবে ‘অনন্ত ভালবাসা’ খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল নায়কের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। আজ শাকিব খান চলচ্চিত্রের ওয়ান এন্ড অনলি নায়ক। পুরো ইন্ডাস্ট্রি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আপন ক্যারিশমায়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কিছু ছবি পাঠকের জন্য শেয়ার করা হলো।

দাম্পত্য জীবনে শাকিব খান ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে গোপন রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিয়ের কথা অপু বিশ্বাস ফাঁস করে দেন। বিয়ের পর তাঁদের ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা আব্রাহাম খান জয়।

ট্যাগ :

শাকিবের জানা-অজানা তথ্য

প্রকাশিত : ০২:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

টালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান জন্মগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারী দপ্তরের সামান্য কর্মচারী এবং মাতা গৃহিণী। যদিও শাকিব খানের দাবি তার বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। নিজেকে ঢাকাই ছবির কিং খান দাবি করলেও তিনি বলিউডের খানদের মত বংশগত খান নন, বরং চলচ্চিত্রের স্বার্থে রাখা নকল নাম শাকিব খান। একবার এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপক আরজে নিরব শাকিব খানকে তার পিতার নামের সাথে খান আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষেপে যান। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই।

শাকিব খান একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা ছায়াছবির মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। কিন্তু ছবিটি তাকে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য না করলেও কয়েক বছর পরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ বেতনভোগী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শাকিব ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না এবং ২০১২ সালে খোদার পরে মা ছবির জন্য দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।

“ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হব। কারণ আমি সাইন্সের ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। বাকী অপশনটি আমার মধ্যে কাজ করত তা হলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এই পেশাটিও আমার খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।

অভিনয় জীবনে শাকিব দুই বাংলার একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি অভিনয় করেন বিখ্যাত নায়ক মান্না, রিয়াজ, রাজ্জাক, আমিন খান, আলমগীর, বাপ্পারাজ, বুলবুল আহমেদসহ আরো অনেকের সাথে।

আবুল খায়ের বুলবুলের পরিচালনায় শাকিব খানের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। তার অভিনীত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। ছবিতে তার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের আরেক অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। যদিও তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ ছবির মাধ্যমে। ছবিতে তার নাম ছিল ‘মশাল’।

ছবি হিসেবে ‘অনন্ত ভালবাসা’ খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল নায়কের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। আজ শাকিব খান চলচ্চিত্রের ওয়ান এন্ড অনলি নায়ক। পুরো ইন্ডাস্ট্রি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আপন ক্যারিশমায়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কিছু ছবি পাঠকের জন্য শেয়ার করা হলো।

দাম্পত্য জীবনে শাকিব খান ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে গোপন রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিয়ের কথা অপু বিশ্বাস ফাঁস করে দেন। বিয়ের পর তাঁদের ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা আব্রাহাম খান জয়।