০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কাতালোনিয়াকে স্বীকৃতি দেবে না ইউরোপ-আমেরিকা

কাতালোনিয়ার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্পেন সরকার।

স্পেন থেকে নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর এটিই দেশটির প্রথম সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ।

এদিকে ইউরোপের বড় কোনো শক্তিই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোও স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে।

স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানিও। অন্যদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয়র কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

ব্রিটেন বলেছে, স্পেনের অখণ্ডতা অটুট থাকুক এবং তাদের সংবিধান সমুন্নত থাকুক এটি তাদের প্রত্যাশা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র এক মুখপাত্র বলেন, যে গণভোটের ওপর ভিত্তি করে কতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কাতালোনিয়া স্পেনের অখণ্ড অংশ।

বড় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবিতে অনড় কাতালোনিয়া বিরাট একটি অংশ।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাতালোনিয়াতে ‘স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে’ কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপ জরুরি।

কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে স্পেন সরকার।

পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করাসহ তাৎক্ষণিক আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।

কাতালোনিয়ার নেতা কার্লেস পুজেমন এবং তার অন্যান্য এমপিদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানকেও।

এছাড়া দেশটিতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে শুক্রবার সারারাত বিক্ষোভ চলে এবং ‘স্পেনের অখণ্ডতা ও সংবিধানের’ উপর রাজধানী মাদ্রিদে শনিবার র‌্যালি হওয়ার কথা রয়েছে।

কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর একটি গণভোট হয়। সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে অধিকাংশ জনগণ ভোট দেয়। সূত্র: বিবিসি

ট্যাগ :

কাতালোনিয়াকে স্বীকৃতি দেবে না ইউরোপ-আমেরিকা

প্রকাশিত : ০১:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

কাতালোনিয়ার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্পেন সরকার।

স্পেন থেকে নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর এটিই দেশটির প্রথম সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ।

এদিকে ইউরোপের বড় কোনো শক্তিই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোও স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে।

স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানিও। অন্যদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয়র কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

ব্রিটেন বলেছে, স্পেনের অখণ্ডতা অটুট থাকুক এবং তাদের সংবিধান সমুন্নত থাকুক এটি তাদের প্রত্যাশা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র এক মুখপাত্র বলেন, যে গণভোটের ওপর ভিত্তি করে কতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কাতালোনিয়া স্পেনের অখণ্ড অংশ।

বড় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবিতে অনড় কাতালোনিয়া বিরাট একটি অংশ।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাতালোনিয়াতে ‘স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে’ কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপ জরুরি।

কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে স্পেন সরকার।

পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করাসহ তাৎক্ষণিক আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।

কাতালোনিয়ার নেতা কার্লেস পুজেমন এবং তার অন্যান্য এমপিদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানকেও।

এছাড়া দেশটিতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে শুক্রবার সারারাত বিক্ষোভ চলে এবং ‘স্পেনের অখণ্ডতা ও সংবিধানের’ উপর রাজধানী মাদ্রিদে শনিবার র‌্যালি হওয়ার কথা রয়েছে।

কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর একটি গণভোট হয়। সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে অধিকাংশ জনগণ ভোট দেয়। সূত্র: বিবিসি