০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে: স্পিকার

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের সাথে সরকারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে। তবে যখনই কোন প্লাটফর্মে বা ফোরামে সংসদ সদস্যরা একত্রিত হন, সেখানে পার্লামেন্টারিয়ান ডিপ্লোমেসি বলে একটা বিষয় থাকে। পার্লামেন্টারিয়ানরা তাদের দেশে ফিরে গিয়ে নিজ দেশের সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন, সরকারের সাথেও কথা বলতে পারেন, আবার আন্তর্জাতিক যেকোন ফোরামেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। সে কারণে পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসীর সুযোগ গ্রহণের জন্য এটা একটা ভালো ক্ষেত্র। যেখানে আমরা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্য, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারদের কাছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করতে পারি।’

শুক্রবার সিপিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসীর সুযোগ গ্রহণের জন্য কমনওয়েলথ সম্মেলন (সিপিসি) একটি ভালো ক্ষেত্র। এ সুযোগটি বাংলাদেশ গ্রহণ করতে চায়।

শিরীন শারমিন বলেন, কমনওয়েলথ সম্মেলনের বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশ। সিপিএ’ সচিবালয়ের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশেরই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই কারণে এটার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ানদের অনেকের জানার আগ্রহের কারণে এই সম্মেলনে একটি ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশও রোহিঙ্গা সমস্যার একটা দ্রুত সমাধান এবং তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিভিন্নভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে ৫টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। সেই প্রস্তাবের আলোকেই বাংলাদেশ সমাধানের কাজটি এগিয়ে নিতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, সিপিসি’র এজেন্ডা অনেক আগেই নির্ধারিত হয় এবং সেই প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। রোহিঙ্গা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে সম্পর্কে অবহিত করা, এ বিষয়ে তাদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা বিষয়টিকে একটি আলাদা উপাদান হিসেবে এজেন্ডায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, আগামী ৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বিষয়ে সম্মেলনে আগত কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত এ ব্রিফিং অনুষ্ঠানটি চলবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের যা কিছু জানার তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সময় জানাবেন।

তিনি বলেন, সেখানে কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেও একটা মতামত আসবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে সহযোগিতা ও সমর্থন চাওয়া হবে। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যাটি সমাধানের ব্যাপারে কমনওয়েলথভূক্ত পার্লামেন্টারিয়ানদের সমর্থন নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে: স্পিকার

প্রকাশিত : ০৫:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের সাথে সরকারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে। তবে যখনই কোন প্লাটফর্মে বা ফোরামে সংসদ সদস্যরা একত্রিত হন, সেখানে পার্লামেন্টারিয়ান ডিপ্লোমেসি বলে একটা বিষয় থাকে। পার্লামেন্টারিয়ানরা তাদের দেশে ফিরে গিয়ে নিজ দেশের সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন, সরকারের সাথেও কথা বলতে পারেন, আবার আন্তর্জাতিক যেকোন ফোরামেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। সে কারণে পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসীর সুযোগ গ্রহণের জন্য এটা একটা ভালো ক্ষেত্র। যেখানে আমরা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্য, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারদের কাছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করতে পারি।’

শুক্রবার সিপিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পার্লামেন্ট ডিপ্লোমেসীর সুযোগ গ্রহণের জন্য কমনওয়েলথ সম্মেলন (সিপিসি) একটি ভালো ক্ষেত্র। এ সুযোগটি বাংলাদেশ গ্রহণ করতে চায়।

শিরীন শারমিন বলেন, কমনওয়েলথ সম্মেলনের বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশ। সিপিএ’ সচিবালয়ের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশেরই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই কারণে এটার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ানদের অনেকের জানার আগ্রহের কারণে এই সম্মেলনে একটি ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশও রোহিঙ্গা সমস্যার একটা দ্রুত সমাধান এবং তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিভিন্নভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে ৫টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। সেই প্রস্তাবের আলোকেই বাংলাদেশ সমাধানের কাজটি এগিয়ে নিতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, সিপিসি’র এজেন্ডা অনেক আগেই নির্ধারিত হয় এবং সেই প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। রোহিঙ্গা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে সম্পর্কে অবহিত করা, এ বিষয়ে তাদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা বিষয়টিকে একটি আলাদা উপাদান হিসেবে এজেন্ডায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, আগামী ৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বিষয়ে সম্মেলনে আগত কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত এ ব্রিফিং অনুষ্ঠানটি চলবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের যা কিছু জানার তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সময় জানাবেন।

তিনি বলেন, সেখানে কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেও একটা মতামত আসবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে সহযোগিতা ও সমর্থন চাওয়া হবে। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যাটি সমাধানের ব্যাপারে কমনওয়েলথভূক্ত পার্লামেন্টারিয়ানদের সমর্থন নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।