০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

৭ কলেজের ভর্তি পরীক্ষা: একেক ইউনিটে একেক শর্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর ৭টি সরকারী কলেজে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান ও পাস কোর্সে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন। আগামী ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২ ডিসেম্বর শনিবার বাণিজ্য ইউনিট এবং ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে স্নাতকে ভর্তি হতে একেক ইউনিটে একেকটি শর্ত পুরণ করতে হবে ভর্তিচ্ছুদের।

৭টি কলেজে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ১৬ হাজার ৯০০, বাণিজ্য ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৭৮৫ এবং বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৬৬০টি আসন রয়েছে। এসব আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য থাকছে ১২০ নম্বর। এরমধ্যে পাস করতে হলে পেতে হবে ৪৮ নম্বর। বাণিজ্য ইউনিটে বিষয়ওয়ারী সর্বনিম্ন নাম্বারের কোন শর্ত না থাকলেও বিজ্ঞান ইউনিট এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে রয়েছে এ শর্ত। তবে ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ইউনিটেই থাকছে না নেগেটিভ মার্ক।

বিজ্ঞান ইউনিটে সর্বনিম্ন ৪৮ পেলেও শিক্ষার্থী যে বিষয়ে স্নাতক করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ নম্বর পেতে হবে। অন্যদিকে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ইংরেজী, বাংলা এবং সাধারণ জ্ঞানের দুই শাখা বাংলাদেশ বিষয়বলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে আলাদাভাবে সর্বনিম্ন ৮ নম্বর করে পেতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী যে বিষয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কের অপশন রাখা হয়নি। একজন শিক্ষার্থী একাধিক অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। বাণিজ্য ইউনিটে কোনো বিষয়ে আলাদাভাবে নুন্যতম নাম্বার পেতে হবে না। মোট ৪৮ নম্বর পেলেই পাস।

তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার পর ভর্তিচ্ছুরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কলেজ নির্ধারণ করবে। এরপর মেরিট অনুয়ায়ী যেখানে আসে সে সেখানে ভর্তি হতে পারবে।

অন্যদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে শিক্ষার্থী যে বিষয়ে স্নাতক করবে সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ পেতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৪৮ পেতে হবে। তবে সে যে বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুক সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ নম্বর পেতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৮ হলেও বিষয়ওয়ারী সর্বনিম্ন নাম্বার পেতে হবে। এজন্য বাংলায় ৮, ইংরেজীতে ৮ এবং সাধারণ জ্ঞানের দুই শাখা বাংলাদেশ বিষয়বলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে সর্বনিম্ন ৮ করে পেতে হবে। এছাড়া যে বিষয়ে শিক্ষার্থী স্নাতক করবে সে বিষয়ে আলাদা নাম্বার পেতে হবে। সেটা বিষয়ওয়ারী ভিন্ন ভিন্ন। যেমন ইংরেজীতে স্নাতক করতে হলে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে সর্বনিম্ন ২০ পেতে হবে। এভাবে অন্যান্য বিষয়েও আলাদাভাবে শর্ত পুরণ করতে হবে।

একেক ইউনিটে একেক শর্ত কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা এককভাবে করা হয়নি। প্রতিটি বিভাগের জন্য সবাই মিলে এ কাজটা করা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী বিষয়ওয়ারী শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে কি করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরণ হয়ে যাবে।

এদিকে ভর্তিচ্ছুদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনলাইনে আবেদন করার সময় ভুল হলেও তা সংশোধন করার অপশন রাখা হয়নি। এ বিষয়ে সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে ভুল হলে জরিমানা দিয়ে সেটা ঠিক করা যায়। ঠিক একইভাবে এখানেও সে অপশন রাখা হয়েছে। আবেদনে যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে জরিমানা জমা দিয়ে সেটা ঠিক করা যাবে। রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় এ ৭টি কলেজ। কলেজগুলো হল: ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।

ট্যাগ :

৭ কলেজের ভর্তি পরীক্ষা: একেক ইউনিটে একেক শর্ত

প্রকাশিত : ০৬:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর ৭টি সরকারী কলেজে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান ও পাস কোর্সে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন। আগামী ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২ ডিসেম্বর শনিবার বাণিজ্য ইউনিট এবং ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে স্নাতকে ভর্তি হতে একেক ইউনিটে একেকটি শর্ত পুরণ করতে হবে ভর্তিচ্ছুদের।

৭টি কলেজে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ১৬ হাজার ৯০০, বাণিজ্য ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৭৮৫ এবং বিজ্ঞান ইউনিটের অধীনে ৮ হাজার ৬৬০টি আসন রয়েছে। এসব আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য থাকছে ১২০ নম্বর। এরমধ্যে পাস করতে হলে পেতে হবে ৪৮ নম্বর। বাণিজ্য ইউনিটে বিষয়ওয়ারী সর্বনিম্ন নাম্বারের কোন শর্ত না থাকলেও বিজ্ঞান ইউনিট এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে রয়েছে এ শর্ত। তবে ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ইউনিটেই থাকছে না নেগেটিভ মার্ক।

বিজ্ঞান ইউনিটে সর্বনিম্ন ৪৮ পেলেও শিক্ষার্থী যে বিষয়ে স্নাতক করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ নম্বর পেতে হবে। অন্যদিকে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ইংরেজী, বাংলা এবং সাধারণ জ্ঞানের দুই শাখা বাংলাদেশ বিষয়বলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে আলাদাভাবে সর্বনিম্ন ৮ নম্বর করে পেতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী যে বিষয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কের অপশন রাখা হয়নি। একজন শিক্ষার্থী একাধিক অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। বাণিজ্য ইউনিটে কোনো বিষয়ে আলাদাভাবে নুন্যতম নাম্বার পেতে হবে না। মোট ৪৮ নম্বর পেলেই পাস।

তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার পর ভর্তিচ্ছুরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কলেজ নির্ধারণ করবে। এরপর মেরিট অনুয়ায়ী যেখানে আসে সে সেখানে ভর্তি হতে পারবে।

অন্যদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে শিক্ষার্থী যে বিষয়ে স্নাতক করবে সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ পেতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৪৮ পেতে হবে। তবে সে যে বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুক সে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১২ নম্বর পেতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৮ হলেও বিষয়ওয়ারী সর্বনিম্ন নাম্বার পেতে হবে। এজন্য বাংলায় ৮, ইংরেজীতে ৮ এবং সাধারণ জ্ঞানের দুই শাখা বাংলাদেশ বিষয়বলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে সর্বনিম্ন ৮ করে পেতে হবে। এছাড়া যে বিষয়ে শিক্ষার্থী স্নাতক করবে সে বিষয়ে আলাদা নাম্বার পেতে হবে। সেটা বিষয়ওয়ারী ভিন্ন ভিন্ন। যেমন ইংরেজীতে স্নাতক করতে হলে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে সর্বনিম্ন ২০ পেতে হবে। এভাবে অন্যান্য বিষয়েও আলাদাভাবে শর্ত পুরণ করতে হবে।

একেক ইউনিটে একেক শর্ত কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা এককভাবে করা হয়নি। প্রতিটি বিভাগের জন্য সবাই মিলে এ কাজটা করা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী বিষয়ওয়ারী শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে কি করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরণ হয়ে যাবে।

এদিকে ভর্তিচ্ছুদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনলাইনে আবেদন করার সময় ভুল হলেও তা সংশোধন করার অপশন রাখা হয়নি। এ বিষয়ে সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে ভুল হলে জরিমানা দিয়ে সেটা ঠিক করা যায়। ঠিক একইভাবে এখানেও সে অপশন রাখা হয়েছে। আবেদনে যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে জরিমানা জমা দিয়ে সেটা ঠিক করা যাবে। রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় এ ৭টি কলেজ। কলেজগুলো হল: ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।