০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বিচারকদের শৃংখলাবিধি প্রকাশে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা বিধিমালার গেজেট প্রকাশে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের চার সপ্তাহের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মাসদার হোসেন মামলায় ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। রায়ে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয়া হয় রায়ে।

ওই রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। রায়ের নির্দেশনার অনুযায়ি গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে জানায় আপিল বিভাগ।

পরে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার সংশোধন করে গেজেট প্রকাশে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। তা প্রকাশে ইতোমধ্যে কয়েকদফা সময়ও নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

এরই মধ্যে আবারো গত ২৭ জুলাই বিধিমালার একটি খসড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আপিল বিভাগে দাখিল করে। পরে খসড়াটি বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসার আহ্বান জানায় আপিল বিভাগ।

ট্যাগ :

বিচারকদের শৃংখলাবিধি প্রকাশে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়

প্রকাশিত : ০৯:০০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা বিধিমালার গেজেট প্রকাশে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের চার সপ্তাহের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মাসদার হোসেন মামলায় ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। রায়ে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয়া হয় রায়ে।

ওই রায়ের আলোকে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। রায়ের নির্দেশনার অনুযায়ি গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে জানায় আপিল বিভাগ।

পরে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার সংশোধন করে গেজেট প্রকাশে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। তা প্রকাশে ইতোমধ্যে কয়েকদফা সময়ও নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

এরই মধ্যে আবারো গত ২৭ জুলাই বিধিমালার একটি খসড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আপিল বিভাগে দাখিল করে। পরে খসড়াটি বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসার আহ্বান জানায় আপিল বিভাগ।