০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিশু জিহাদের মৃত্যূতে ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলাজনিত কারণে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেনি চেম্বার আদালত।

এর ফলে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনজীবী মো. আব্দুল হালিম।

মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আদেশ দেয়।

রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলাজনিত কারণে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা ও ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। এর আগে এ বিষয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে শিশু জিহাদের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা রেলওয়ে ও সিটি করপোরেশনের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সারা দেশে কতোগুলো অরক্ষিত পাইপ, ঢাকনাবিহীন পাইপের গর্ত, ম্যানহোল ও পয়োনিষ্কাশন পাইপ রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চায় আদালত।

২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে খোলা থাকা কয়েকশ ফুট গভীর একটি নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ক্যামেরা নামিয়েও ফায়ার সার্ভিস কোনো মানুষের ছবি না পাওয়ায় পাইপে জিহাদের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েক মিনিট পর কয়েকজন তরুণের তৎপরতায় তৈরি করা যন্ত্রে পাইপের নিচ থেকে উঠে আসে অচেতন জিহাদ। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ট্যাগ :

শিশু জিহাদের মৃত্যূতে ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

প্রকাশিত : ০৮:১৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭

রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলাজনিত কারণে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেনি চেম্বার আদালত।

এর ফলে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনজীবী মো. আব্দুল হালিম।

মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আদেশ দেয়।

রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলাজনিত কারণে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা ও ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। এর আগে এ বিষয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে শিশু জিহাদের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা রেলওয়ে ও সিটি করপোরেশনের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সারা দেশে কতোগুলো অরক্ষিত পাইপ, ঢাকনাবিহীন পাইপের গর্ত, ম্যানহোল ও পয়োনিষ্কাশন পাইপ রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চায় আদালত।

২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে খোলা থাকা কয়েকশ ফুট গভীর একটি নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ক্যামেরা নামিয়েও ফায়ার সার্ভিস কোনো মানুষের ছবি না পাওয়ায় পাইপে জিহাদের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েক মিনিট পর কয়েকজন তরুণের তৎপরতায় তৈরি করা যন্ত্রে পাইপের নিচ থেকে উঠে আসে অচেতন জিহাদ। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।