০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

মুক্তিপণ আদায়ের সময় পুলিশসহ আটক ৪

সাভারের আশুলিয়ায় এক ব্যক্তিকে আটক করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিন ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে বাইপাইল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ও এর চালককেও আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শকের নাম মকবুল হোসেন। তিনি আশুলিয়ার শিল্প-পুলিশ-১ এ কর্মরত রয়েছেন। আর বাকি তিন ভুয়া ডিবি পুলিশের মধ্যে একজন নারী, অপর দুজন পুরুষ। মূলত তারা সহকারী উপপরিদর্শক মকবুল হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

সুত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে তার পরিবারের কাছে বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে তার স্বজনরা বিকাশের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি দশ হাজার টাকা নিয়ে বাইপাইল ব্রিজের কাছে আসতে বলে চক্রটি।

এসময় তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পরিবারের লোকেরা আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে যান। তাদের অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল গোপনে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চক্রটির কাছে যান। মুক্তিপণের টাকা হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় চক্রটির দু’জন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এই ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য একাধিকবার আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বারবার সংযোগ কেটে দেন।

তবে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমান সহকারী উপ-পরিদশক মকবুল হোসেনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে তাকে শিল্প পুলিশ-১ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

মুক্তিপণ আদায়ের সময় পুলিশসহ আটক ৪

প্রকাশিত : ১১:৫১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

সাভারের আশুলিয়ায় এক ব্যক্তিকে আটক করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিন ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে বাইপাইল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ও এর চালককেও আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শকের নাম মকবুল হোসেন। তিনি আশুলিয়ার শিল্প-পুলিশ-১ এ কর্মরত রয়েছেন। আর বাকি তিন ভুয়া ডিবি পুলিশের মধ্যে একজন নারী, অপর দুজন পুরুষ। মূলত তারা সহকারী উপপরিদর্শক মকবুল হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

সুত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে তার পরিবারের কাছে বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে তার স্বজনরা বিকাশের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি দশ হাজার টাকা নিয়ে বাইপাইল ব্রিজের কাছে আসতে বলে চক্রটি।

এসময় তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পরিবারের লোকেরা আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে যান। তাদের অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল গোপনে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চক্রটির কাছে যান। মুক্তিপণের টাকা হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় চক্রটির দু’জন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এই ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য একাধিকবার আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বারবার সংযোগ কেটে দেন।

তবে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমান সহকারী উপ-পরিদশক মকবুল হোসেনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে তাকে শিল্প পুলিশ-১ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’