০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঘুষ গ্রহণ মামলা: নাজমুল হুদার ৪ বছরের কারাদন্ড

ঘুষগ্রহণ সংক্রান্ত এক মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার সাত বছরের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে এ মামলায় তিন বছরের দন্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত। তার মধ্যে যে পরিমাণ সাজা তিনি খেটেছেন, তাই শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হবে বলে আজ রায়ে বলা হয়। রায়ের অনুলিপি যেদিন বিচারিক আদালতে পৌঁছাবে সেদিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা দম্পতির আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়। এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদেরকে খালাস দিলেও আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানিতে প্রেরণ করে।
আদালতে নাজমুল হুদা তার পক্ষে নিজেই শুনানি করেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদন্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এডভোকেট খুরশীদ আলম খান আজ সাংবাদিকদের জানান, নাজমুল হুদার সাজা কমেছে তিন বছর। তবে জরিমানার বিষয়ে কিছু বলেননি হাইকোর্ট। ফলে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা তাকে দিতে হবে। অন্য আসামি সিগমা হুদা বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময়কেই তার সাজা হিসেবে গণ্য করতে বলেছে আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেয় হাইকোর্ট। এ রায় বিষয়ে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি হয়।

নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরালের জন্য মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয় নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা। এক সময়ের বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বর্তমানে নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ।

ট্যাগ :

ঘুষ গ্রহণ মামলা: নাজমুল হুদার ৪ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত : ০৭:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

ঘুষগ্রহণ সংক্রান্ত এক মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার সাত বছরের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে এ মামলায় তিন বছরের দন্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত। তার মধ্যে যে পরিমাণ সাজা তিনি খেটেছেন, তাই শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হবে বলে আজ রায়ে বলা হয়। রায়ের অনুলিপি যেদিন বিচারিক আদালতে পৌঁছাবে সেদিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা দম্পতির আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়। এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদেরকে খালাস দিলেও আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানিতে প্রেরণ করে।
আদালতে নাজমুল হুদা তার পক্ষে নিজেই শুনানি করেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদন্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এডভোকেট খুরশীদ আলম খান আজ সাংবাদিকদের জানান, নাজমুল হুদার সাজা কমেছে তিন বছর। তবে জরিমানার বিষয়ে কিছু বলেননি হাইকোর্ট। ফলে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা তাকে দিতে হবে। অন্য আসামি সিগমা হুদা বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময়কেই তার সাজা হিসেবে গণ্য করতে বলেছে আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেয় হাইকোর্ট। এ রায় বিষয়ে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি হয়।

নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরালের জন্য মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয় নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা। এক সময়ের বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বর্তমানে নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ।