০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

লেজুরবৃত্তি বিতর্কে ব্রিটিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি) বিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিবিসির এক খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ ওঠার জেরে পদত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন।
অভিযোগ আছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন প্রীতি প্যাটেলে। অবশ্য গত সপ্তাহে একটি ইংরেজি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বৈঠকগুলোর বিষয়ে জানত। কিন্তু পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্র জানায়, এসব বৈঠকের বিষয়ে তাদের জানা নেই। এমনকি ইসরায়েলে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের দূতাবাসকেও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এরপর বুধবার প্যাটেল নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে বিতর্ক আরও জোরালো হয়।
গত বছরের আগস্টে পরিবারসহ ইসরায়েলে ছুটি কাটাতে যান প্রীতি প্যাটেল। ওই সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মোট ১২টি বৈঠক করেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সাহায্য বরাদ্দের সুপারিশ করেন প্রীতি। তার এ সুপারিশ ওইসব গোপন বৈঠকের প্রভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিক বিষয়টিকে আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন দাবি করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করেছে লেবার পার্টি। প্যাটেলের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিরোধী দল বলেছিল, তার এমন আচরণের পর পদত্যাগ করাটাই হবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। সূত্র: বিবিসি।

ট্যাগ :

লেজুরবৃত্তি বিতর্কে ব্রিটিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত : ০১:৪০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি) বিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিবিসির এক খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ ওঠার জেরে পদত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন।
অভিযোগ আছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন প্রীতি প্যাটেলে। অবশ্য গত সপ্তাহে একটি ইংরেজি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বৈঠকগুলোর বিষয়ে জানত। কিন্তু পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্র জানায়, এসব বৈঠকের বিষয়ে তাদের জানা নেই। এমনকি ইসরায়েলে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের দূতাবাসকেও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এরপর বুধবার প্যাটেল নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে বিতর্ক আরও জোরালো হয়।
গত বছরের আগস্টে পরিবারসহ ইসরায়েলে ছুটি কাটাতে যান প্রীতি প্যাটেল। ওই সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মোট ১২টি বৈঠক করেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সাহায্য বরাদ্দের সুপারিশ করেন প্রীতি। তার এ সুপারিশ ওইসব গোপন বৈঠকের প্রভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিক বিষয়টিকে আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন দাবি করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করেছে লেবার পার্টি। প্যাটেলের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিরোধী দল বলেছিল, তার এমন আচরণের পর পদত্যাগ করাটাই হবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। সূত্র: বিবিসি।