০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নাইকোর রায় স্থগিত: শুনানি ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহে ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আনা আবেদনের শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে গত ১৯ অক্টোবরও নাইকোর আনা এ আবেদনের শুনানি তিন সপ্তাহের জন্যে মুলতবি করা হয়েছিলো।

আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতকে গ্যাসকূপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের মূল্য পরিশোধ করা যাবে না।

নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।

তিনি জানান, ‘নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত বছর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম রিট আবেদনটি করেন। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি, দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে’।

এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দেরও আবেদন জানানো হয়। এরপর গত বছরের ০৯ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

ট্যাগ :

নাইকোর রায় স্থগিত: শুনানি ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

প্রকাশিত : ০২:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহে ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আনা আবেদনের শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে গত ১৯ অক্টোবরও নাইকোর আনা এ আবেদনের শুনানি তিন সপ্তাহের জন্যে মুলতবি করা হয়েছিলো।

আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতকে গ্যাসকূপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের মূল্য পরিশোধ করা যাবে না।

নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।

তিনি জানান, ‘নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত বছর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম রিট আবেদনটি করেন। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি, দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে’।

এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দেরও আবেদন জানানো হয়। এরপর গত বছরের ০৯ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।