০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভূমি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি: ১১ টি প্রস্তাব দুদকের

ভূমি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি রুখতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে ১১ টি প্রস্তাব দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, বোর্ড এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব দেয় দুদক।

মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সচিব এম এ জলিল, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ।

দুদকের পক্ষে কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ ১১টি প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলো হলো:

১/ হেল্প ডেস্ক স্থাপন।
২/ ভাল আচরণ।
৩/ অফিসের দপ্তর প্রধানের সাথে সাধারণ মানুষের যে কোনো একদিন দেখা করার ব্যবস্থা।
৪/ তথ্য প্রদান।
৫/ সিটিজেন চার্টার ভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য অফিসের সামনে টাঙিয়ে রাখা বা ওয়েবসাইটে দেয়া।
৬/ তথ্য মেলা বা তথ্য সপ্তাহ।
৭/ প্রতি সপ্তাহে একদিন গণ শুনানির আয়োজন করা।
৮/ দালালের দৌরাত্ব কমাতে দালালদের নাম ছবিসহ নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ।
৯/ ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ কথাটি সম্বলিত ব্যানার নোটিশ বোর্ডে টাঙানো।
১০/ প্রদত্ত সেবা সন্তোষজনক নাকি অসন্তোষজনক সে বিষয়ে চিটিজেন রিপোর্ট।
১১/ মোবাইল ফোন এবং অনলাইনে সেবার তথ্য পরিবেশন।

এসময় দুদকের কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা দেশের সাব রেজিস্টার অফিসগুলোতে তারা নিজেদের খেয়াল মত কাজ করে। তারা সরকারের নির্দেশনা মানে না। প্রচুর দুর্ণীতি হয় ওখানে। তাই আমরা ১১টি প্রস্তাব দিয়েছি।

ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য দুদকের কিছু ব্যাতিক্রমি সুপারিশ পেয়েছি। এগুলো সিস্টেমের ভেতর দিয়ে এবং আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে যেভাবে কাজে লাগানো যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, অনিয়ম হয় দুর্নীতি হয় কয়েকটা কারণে। এর মধ্যে একটা হল ভোগান্তি। ভোগান্তি দূর না করা পর্যন্ত ১০০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। তবে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি জরিপের সময় এদিক সেদিক প্রচেস করলে ভোগান্তি শুরু হয়। এগুলো ম্যানুয়ালি করা হয় আমাদের দেশে। কিন্তু আমরা এখন আর ম্যানুয়ালি করছি না। আমরা এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে জরিপ করছি। এটা একটি সিস্টেমের ভেতরে আনার জন্য কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা কাজ করছে। ১০ বছরের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং শতভাগ উন্নয়নের জন্য যে কাজ করার দরকার তা আমরা করব। আমরা খুব দ্রুত সময়ে ভূমি এবং ভূমি সংক্রান্ত সমস্থকিছু থেকে দুর্নীতিমুক্ত করে ছাড়ব।

ট্যাগ :

ভূমি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি: ১১ টি প্রস্তাব দুদকের

প্রকাশিত : ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

ভূমি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি রুখতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে ১১ টি প্রস্তাব দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, বোর্ড এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব দেয় দুদক।

মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সচিব এম এ জলিল, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ।

দুদকের পক্ষে কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ ১১টি প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলো হলো:

১/ হেল্প ডেস্ক স্থাপন।
২/ ভাল আচরণ।
৩/ অফিসের দপ্তর প্রধানের সাথে সাধারণ মানুষের যে কোনো একদিন দেখা করার ব্যবস্থা।
৪/ তথ্য প্রদান।
৫/ সিটিজেন চার্টার ভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য অফিসের সামনে টাঙিয়ে রাখা বা ওয়েবসাইটে দেয়া।
৬/ তথ্য মেলা বা তথ্য সপ্তাহ।
৭/ প্রতি সপ্তাহে একদিন গণ শুনানির আয়োজন করা।
৮/ দালালের দৌরাত্ব কমাতে দালালদের নাম ছবিসহ নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ।
৯/ ‘আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত’ কথাটি সম্বলিত ব্যানার নোটিশ বোর্ডে টাঙানো।
১০/ প্রদত্ত সেবা সন্তোষজনক নাকি অসন্তোষজনক সে বিষয়ে চিটিজেন রিপোর্ট।
১১/ মোবাইল ফোন এবং অনলাইনে সেবার তথ্য পরিবেশন।

এসময় দুদকের কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা দেশের সাব রেজিস্টার অফিসগুলোতে তারা নিজেদের খেয়াল মত কাজ করে। তারা সরকারের নির্দেশনা মানে না। প্রচুর দুর্ণীতি হয় ওখানে। তাই আমরা ১১টি প্রস্তাব দিয়েছি।

ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য দুদকের কিছু ব্যাতিক্রমি সুপারিশ পেয়েছি। এগুলো সিস্টেমের ভেতর দিয়ে এবং আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে যেভাবে কাজে লাগানো যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, অনিয়ম হয় দুর্নীতি হয় কয়েকটা কারণে। এর মধ্যে একটা হল ভোগান্তি। ভোগান্তি দূর না করা পর্যন্ত ১০০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না। তবে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি জরিপের সময় এদিক সেদিক প্রচেস করলে ভোগান্তি শুরু হয়। এগুলো ম্যানুয়ালি করা হয় আমাদের দেশে। কিন্তু আমরা এখন আর ম্যানুয়ালি করছি না। আমরা এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে জরিপ করছি। এটা একটি সিস্টেমের ভেতরে আনার জন্য কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা কাজ করছে। ১০ বছরের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং শতভাগ উন্নয়নের জন্য যে কাজ করার দরকার তা আমরা করব। আমরা খুব দ্রুত সময়ে ভূমি এবং ভূমি সংক্রান্ত সমস্থকিছু থেকে দুর্নীতিমুক্ত করে ছাড়ব।