০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস ঘোষণা করে শুন্য পদগুলো পূরণের দাবি জানিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক সংগঠন ও জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘৩ নভেম্বরের খুনীদের বিচারের কার্যকর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে, দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মৃদুলের তত্ত্বাবধানে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দ ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান। তারা বলেন, অনেক আগে জাতীয় চার নেতা হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। এই জেল হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।

তারা সমাবেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ সদস্য আমাতুল কিররিয়া কেয়া চৌধুরীর উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকালেিদর গেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়র এনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজিৎ সরকার ও মো. আব্দুল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জরুরিভিত্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়সহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধীমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারী, লিখিত, মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদন্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ট্যাগ :

সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

প্রকাশিত : ০৮:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস ঘোষণা করে শুন্য পদগুলো পূরণের দাবি জানিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক সংগঠন ও জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘৩ নভেম্বরের খুনীদের বিচারের কার্যকর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সকল ক্যাডারে ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে, দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মৃদুলের তত্ত্বাবধানে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দ ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান। তারা বলেন, অনেক আগে জাতীয় চার নেতা হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। এই জেল হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।

তারা সমাবেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ সদস্য আমাতুল কিররিয়া কেয়া চৌধুরীর উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকালেিদর গেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়র এনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজিৎ সরকার ও মো. আব্দুল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জরুরিভিত্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়সহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধীমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারী, লিখিত, মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদন্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।