০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবসম্মত প্রকল্প

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,একটি টেকসই পরিকল্পনা ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করা যাবে না। এই সমস্যা নিরসনে সরকার একটি বাস্তবসম্মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মন্ত্রী রবিবর সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন,চট্টগ্রাম মহানগরী দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। এটি সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। তাই এই শহরের জলাবদ্ধতা যেকোন মূল্যে দূর করতে হবে। ‘স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড় হতে নেমে আসা পানি ও জোয়ার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এই সকল বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে’ এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সরকার একটি বাস্তবসম্মত ও সু-পরিকল্পিত প্রকল্প আগামী ইংরেজী নববর্ষের আগে চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দেবে’। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় বাস করছেন। আর জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবদিকে ভোগান্তি হচ্ছে। একটি টেকসই পরিকল্পনা ছাড়া এ সমস্যা দূর করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি সমন্বিত রূপরেখা প্রয়োজন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম ওয়াসার সমন্বয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটি বাস্তবসম্মত ও দৃশ্যমান উপায় বের করার নির্দেশনাদেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিডিএ-র মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে তা বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পড়বে সিটি কর্পোরেশনের ওপর। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসাও এর সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী। সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জুয়েনা আজিজসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সিডিএ-র মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ সমাধান উঠে এসেছে। এখন পর্যালোচনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে জোয়ারের পানির চাপও একটি বড় সমস্যা। প্রকল্প বাস্তবায়নে পানি নিষ্কাশনের সময় শহরে যাতে পানি প্রবেশ না করে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।

ট্যাগ :

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবসম্মত প্রকল্প

প্রকাশিত : ০১:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,একটি টেকসই পরিকল্পনা ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করা যাবে না। এই সমস্যা নিরসনে সরকার একটি বাস্তবসম্মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মন্ত্রী রবিবর সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন,চট্টগ্রাম মহানগরী দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। এটি সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। তাই এই শহরের জলাবদ্ধতা যেকোন মূল্যে দূর করতে হবে। ‘স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড় হতে নেমে আসা পানি ও জোয়ার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এই সকল বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে’ এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সরকার একটি বাস্তবসম্মত ও সু-পরিকল্পিত প্রকল্প আগামী ইংরেজী নববর্ষের আগে চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দেবে’। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় বাস করছেন। আর জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবদিকে ভোগান্তি হচ্ছে। একটি টেকসই পরিকল্পনা ছাড়া এ সমস্যা দূর করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি সমন্বিত রূপরেখা প্রয়োজন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম ওয়াসার সমন্বয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটি বাস্তবসম্মত ও দৃশ্যমান উপায় বের করার নির্দেশনাদেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিডিএ-র মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে তা বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পড়বে সিটি কর্পোরেশনের ওপর। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসাও এর সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী। সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জুয়েনা আজিজসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সিডিএ-র মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ সমাধান উঠে এসেছে। এখন পর্যালোচনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে জোয়ারের পানির চাপও একটি বড় সমস্যা। প্রকল্প বাস্তবায়নে পানি নিষ্কাশনের সময় শহরে যাতে পানি প্রবেশ না করে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।