০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভারমুক্ত বিচার বিভাগ

গত কয়েকদিন ধরে চলমান বিতর্ককের মূল নায়ক হিসেবে রয়েছেন বিচার পতি এস কে সিনহা। সর্বশেষ তিনি নানা নাটকীয়তার চিত্র প্রদর্শন করে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগ নিয়েও দেশের রাজনৈতিক মহলে চলমান রয়েছে নানা বিতর্ক। এস কে সিনহার পদত্যাগকে নিয়ে বিএনপির নানা প্রশ্নের অবতারণাকে হাস্যকর হিসেবেই দেখছেন আওয়ামীলিগের নেতাকর্মীরা। দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা মনে করেন তার পদত্যাগে বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হয়েছে। বিএনপি বলছে বিচার বিভাগ কলুশিত হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিচার ব্যবস্থাকে প্রথম কুলুষিত করেছিলেন। আর সেই দলটির নেতারা একজন অসুস্থ্য মানুষকে সুস্থ্য বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। জিয়াউর রহমান সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে সেটাকে ব্যবহার না করেই বহু বিচারপতিকে অপসারণ করেছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। প্রধান বিচারপতি নিজে যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই তিনি অবসরে গিয়েছেন। এখানে কারো কোন কিছু বলার নেই। এই নোংরা রাজনীতি পরিহার করারও অনুরোধ জানান তিনি। বিএনপি সব সময় যে অসুস্থ্য রাজনীতির চিন্তা চেতনার মধ্যে থাকে তা তাদের এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমেই বোঝা যায় বলেও জানান তিনি। এদিকে বিচার পতির পদত্যাগ পত্র নিয়ে দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচার বিভাগের কেউ যদি দুর্নীতি করে বা নৈতিকস্খলন ঘটায় তাহলে তার পদে থাকা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার পদত্যাগের ফলে বিচার বিভাগে সাংবিধানিক কোন শূন্যতার সৃষ্টি হয়নি। সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল রবিবার এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পদত্যাগ করা ছাড়া তার কোনো পথ খোলা ছিল না। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়নি। এক মাস ১০ দিন ছুটির শেষ দিনে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে হাইকমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি এস কে সিনহা। শনিবার পদত্যাগপত্রটি বঙ্গভবনে পৌঁছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যাওয়ার দুই মাস ২১ দিন আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর থেকে একমাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে আরও দশদিনের ছুটি বাড়িয়ে গত ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া যান তিনি। গত ২ অক্টোবর আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।

ট্যাগ :

ভারমুক্ত বিচার বিভাগ

প্রকাশিত : ০১:৪৬:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

গত কয়েকদিন ধরে চলমান বিতর্ককের মূল নায়ক হিসেবে রয়েছেন বিচার পতি এস কে সিনহা। সর্বশেষ তিনি নানা নাটকীয়তার চিত্র প্রদর্শন করে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগ নিয়েও দেশের রাজনৈতিক মহলে চলমান রয়েছে নানা বিতর্ক। এস কে সিনহার পদত্যাগকে নিয়ে বিএনপির নানা প্রশ্নের অবতারণাকে হাস্যকর হিসেবেই দেখছেন আওয়ামীলিগের নেতাকর্মীরা। দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা মনে করেন তার পদত্যাগে বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হয়েছে। বিএনপি বলছে বিচার বিভাগ কলুশিত হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিচার ব্যবস্থাকে প্রথম কুলুষিত করেছিলেন। আর সেই দলটির নেতারা একজন অসুস্থ্য মানুষকে সুস্থ্য বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। জিয়াউর রহমান সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে সেটাকে ব্যবহার না করেই বহু বিচারপতিকে অপসারণ করেছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। প্রধান বিচারপতি নিজে যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই তিনি অবসরে গিয়েছেন। এখানে কারো কোন কিছু বলার নেই। এই নোংরা রাজনীতি পরিহার করারও অনুরোধ জানান তিনি। বিএনপি সব সময় যে অসুস্থ্য রাজনীতির চিন্তা চেতনার মধ্যে থাকে তা তাদের এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমেই বোঝা যায় বলেও জানান তিনি। এদিকে বিচার পতির পদত্যাগ পত্র নিয়ে দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচার বিভাগের কেউ যদি দুর্নীতি করে বা নৈতিকস্খলন ঘটায় তাহলে তার পদে থাকা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার পদত্যাগের ফলে বিচার বিভাগে সাংবিধানিক কোন শূন্যতার সৃষ্টি হয়নি। সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল রবিবার এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পদত্যাগ করা ছাড়া তার কোনো পথ খোলা ছিল না। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়নি। এক মাস ১০ দিন ছুটির শেষ দিনে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে হাইকমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি এস কে সিনহা। শনিবার পদত্যাগপত্রটি বঙ্গভবনে পৌঁছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যাওয়ার দুই মাস ২১ দিন আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর থেকে একমাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে আরও দশদিনের ছুটি বাড়িয়ে গত ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া যান তিনি। গত ২ অক্টোবর আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।