০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

গাড়ি পাচ্ছেন সকল এসিল্যান্ড

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশের সকল সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) একটি করে গাড়ি পাবেন। তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, সহকারি কমিশনারদের মাঝে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ১শ’টি গাড়ি কেনা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সরকারি ভূমি উদ্ধারে তাদের মাঝে মাঝে অভিযানও পরিচালনা করতে হয়। সুতরাং তাদের সবারই গাড়ির প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ১শ’টি গাড়ি কেনা হয়েছে, আরও গাড়ি কেনা হবে। পর্যায়ক্রমে সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সহকারি কমিশনারদের গাড়ি দেয়া হবে।’ সরকারি দলের সদস্য নুরজাহান বেগমের তারকা চিহ্নিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩ হাজার ১শ’টি ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের জলসীমায় ২৬টি দ্বীপে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭০ একর ভূমি জেগে উঠেছে। তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে বঙ্গোপসাগর তথা নোয়াখালী জেলার জলসীমায় ৫টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। দ্বীপগুলো হলো- হাতিয়ার ভাষান চর, স্বর্ণদ্বীপ, চরকবির, চর বন্দনা এবং সুবর্ণচরের রজনীগন্ধা। এসব চরে ৭৫ হাজার ৮৭৪ একর জমি জেগে উঠেছে।’ মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম জেলাধীন সন্দ্বীপ উপজেলায় ২টি দ্বীপ জেগে উঠেছে- ঠেঙ্গারচর ও জাহাজ্জ্যোর চর। এতে আনুমানিক ১৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৯০ একর জমি জেগে উঠেছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার জলসীমায় ১৯টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। এসব চরে মোট ৩০ হাজার ৫৮৩ একর খাস জমি রয়েছে। এগুলো হলো- কক্সবাজারের বাঁকখালী খরাট চর, উখিয়ার জালিয়াপালং চরপাড়া, টেকনাফের জিনজিরাদ্বীপ, মধ্যহ্নীলা, উত্তর হ্নীলা, শাহপরার দ্বীপ। মহেশখালীর মাতারবাড়ি মৌজা, ধলঘাটা, হাঁসের চর, কালারমারছড়া, উত্তরনলবিলা, আমাবশ্যাখালী, কুতুবজোম, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, সোনারদিয়ার উত্তরে ঘাটিভাঙা মৌজা এবং হামিদরদিয়া। কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ এবং নতুন ঘোনা। পেকুয়ায় করিয়ারদিয়া ও দুবাইঘোনা। তিনি জানান, দ্বীপগুলো এখনো জনশূন্য এবং এগুলো সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য এসব দ্বীপে সেনাবাহিনী জরিপ করছে বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

গাড়ি পাচ্ছেন সকল এসিল্যান্ড

প্রকাশিত : ১২:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশের সকল সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) একটি করে গাড়ি পাবেন। তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, সহকারি কমিশনারদের মাঝে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ১শ’টি গাড়ি কেনা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সরকারি ভূমি উদ্ধারে তাদের মাঝে মাঝে অভিযানও পরিচালনা করতে হয়। সুতরাং তাদের সবারই গাড়ির প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ১শ’টি গাড়ি কেনা হয়েছে, আরও গাড়ি কেনা হবে। পর্যায়ক্রমে সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সহকারি কমিশনারদের গাড়ি দেয়া হবে।’ সরকারি দলের সদস্য নুরজাহান বেগমের তারকা চিহ্নিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩ হাজার ১শ’টি ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের জলসীমায় ২৬টি দ্বীপে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭০ একর ভূমি জেগে উঠেছে। তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে বঙ্গোপসাগর তথা নোয়াখালী জেলার জলসীমায় ৫টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। দ্বীপগুলো হলো- হাতিয়ার ভাষান চর, স্বর্ণদ্বীপ, চরকবির, চর বন্দনা এবং সুবর্ণচরের রজনীগন্ধা। এসব চরে ৭৫ হাজার ৮৭৪ একর জমি জেগে উঠেছে।’ মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম জেলাধীন সন্দ্বীপ উপজেলায় ২টি দ্বীপ জেগে উঠেছে- ঠেঙ্গারচর ও জাহাজ্জ্যোর চর। এতে আনুমানিক ১৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৯০ একর জমি জেগে উঠেছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার জলসীমায় ১৯টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। এসব চরে মোট ৩০ হাজার ৫৮৩ একর খাস জমি রয়েছে। এগুলো হলো- কক্সবাজারের বাঁকখালী খরাট চর, উখিয়ার জালিয়াপালং চরপাড়া, টেকনাফের জিনজিরাদ্বীপ, মধ্যহ্নীলা, উত্তর হ্নীলা, শাহপরার দ্বীপ। মহেশখালীর মাতারবাড়ি মৌজা, ধলঘাটা, হাঁসের চর, কালারমারছড়া, উত্তরনলবিলা, আমাবশ্যাখালী, কুতুবজোম, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, সোনারদিয়ার উত্তরে ঘাটিভাঙা মৌজা এবং হামিদরদিয়া। কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ এবং নতুন ঘোনা। পেকুয়ায় করিয়ারদিয়া ও দুবাইঘোনা। তিনি জানান, দ্বীপগুলো এখনো জনশূন্য এবং এগুলো সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য এসব দ্বীপে সেনাবাহিনী জরিপ করছে বলে তিনি জানান।