০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

খালেদার বক্তব্য অপ্রত্যাশিত

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অপ্রত্যাশিত। তিনি তার বক্তব্যে শেষ পর্যন্ত অটল থাকতে পারবেন না। কারণ তাকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তানাহলে তার দল অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায়নিযুক্ত সিঙ্গাপুর হাইকমিশনার ডেরেক লোর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সম্ভব না। এটার বিষয়ে খালেদা জিয়ার পূর্বঅভিজ্ঞতা আছে। কারণ জিয়াউর রহমানের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল। সেটি সুষ্ঠু হয়নি। এটা খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টিও খালেদা জিয়ার পূর্বঅভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০১ সালে সেটা তিনি দেখেছেন। এটাও তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এটা পড়ে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার আসবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই ইনক্লুসিভ নির্বাচনের আয়োজন হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি যদি না আসে তাহলে নির্বাচন তো আর থেমে থাকবে না। নির্বাচন যথা সময়ে হবে। বিএনপির কোনো দিন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো দিন সংলাপ হবে না। কারণ তাদেরকে অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে তারা সেগুলো গ্রহণ করতে পারেনি। তারা আগুণ সন্ত্রাস করেও দেশে অনেক মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু তারা বিনিময় কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং তারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতে যদি তারা এরকম করতে চায় তাহলে তারা আরও ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ট্যাগ :

খালেদার বক্তব্য অপ্রত্যাশিত

প্রকাশিত : ০১:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অপ্রত্যাশিত। তিনি তার বক্তব্যে শেষ পর্যন্ত অটল থাকতে পারবেন না। কারণ তাকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তানাহলে তার দল অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায়নিযুক্ত সিঙ্গাপুর হাইকমিশনার ডেরেক লোর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সম্ভব না। এটার বিষয়ে খালেদা জিয়ার পূর্বঅভিজ্ঞতা আছে। কারণ জিয়াউর রহমানের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল। সেটি সুষ্ঠু হয়নি। এটা খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টিও খালেদা জিয়ার পূর্বঅভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০১ সালে সেটা তিনি দেখেছেন। এটাও তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এটা পড়ে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার আসবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই ইনক্লুসিভ নির্বাচনের আয়োজন হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি যদি না আসে তাহলে নির্বাচন তো আর থেমে থাকবে না। নির্বাচন যথা সময়ে হবে। বিএনপির কোনো দিন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো দিন সংলাপ হবে না। কারণ তাদেরকে অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে তারা সেগুলো গ্রহণ করতে পারেনি। তারা আগুণ সন্ত্রাস করেও দেশে অনেক মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু তারা বিনিময় কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং তারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতে যদি তারা এরকম করতে চায় তাহলে তারা আরও ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।