০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সংসদে সেনানিবাস বিল উত্থাপিত

প্রায় একশ বছর আগের ‘ক্যান্টমেন্টস অ্যাক্ট-১৯২৪’ নতুন করে প্রণয়ন করতে ‘সেনানিবাস বিল-২০১৭’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আগের আইনের ২৯২টি ধারা থেকে কিছু বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে এই বিলে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ, মাতলামি, ভিক্ষাবৃত্তি বা জুয়া খেলার শাস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এ বিলে।

এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত আইনে, অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে মধ্যে (ক) সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরকে সন্নিবেশিত করা হয়েছে, (খ) সামরিক আবাসিক প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং (গ) বিভিন্ন ফি ও আর্থিক জরিমানার পরিমান বাড়ানো হয়েছে।

খসড়া আইন অনুযায়ী খোলা অবস্থায় মাংস বহন এবং অনাবৃত করে বিকলাঙ্গতা ও ব্যাধি প্রদর্শনের মতো ঘটনাতেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা। প্রস্তাবিত আইনে সেনানিবাস এলাকায় অবৈধ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের আইনে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা । সেনানিবাস এলাকায় নিবন্ধনের বাইরে কুকুর পুষলে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

সড়কের সরকারি ভূমি খনন করলে জরিমানা ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। আতশবাজি ফোটালে বা গুলি ছুড়লে আগে ৫০ টাকা শাস্তি ছিল। প্রস্তাবিত আইনে এই শাস্তি কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বসতবাড়ি জরাজীর্ণ থাকলে সর্বনিম্ন ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।যা আগে ছিল ৫০ টাকা। প্রস্তাবিত আইনে সেনানিবাস এলাকায় বেসরকারি বাজার বা কসাইখানা স্থাপন করলে শাস্তি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর লাইসেন্স ছাড়া বাজার বা কসাইখানা খুললে জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে। আগে এই অপরাধের শাস্তি ছিল ২০০ টাকা। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করলে জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে দুই হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলে পশুকে আবর্জনা খাওয়ালে জরিমানার পরিমাণ ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধভাবে পানি ব্যবহার করলে আগে ৫০ টাকা জরিমানা হত, নতুন আইনে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরকারি কাজে বাধা দিলে জরিমানা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে বিলম্বে আগে জরিমানার কোনো বিধান ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সময়সীমা বর্ধিতকরণের আবেদন তিনবারের বেশি হলে ২০ হাজার টাকা এবং পাঁচবারের বেশি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

ট্যাগ :

সংসদে সেনানিবাস বিল উত্থাপিত

প্রকাশিত : ০৭:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

প্রায় একশ বছর আগের ‘ক্যান্টমেন্টস অ্যাক্ট-১৯২৪’ নতুন করে প্রণয়ন করতে ‘সেনানিবাস বিল-২০১৭’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আগের আইনের ২৯২টি ধারা থেকে কিছু বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে এই বিলে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ, মাতলামি, ভিক্ষাবৃত্তি বা জুয়া খেলার শাস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এ বিলে।

এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত আইনে, অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে মধ্যে (ক) সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরকে সন্নিবেশিত করা হয়েছে, (খ) সামরিক আবাসিক প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং (গ) বিভিন্ন ফি ও আর্থিক জরিমানার পরিমান বাড়ানো হয়েছে।

খসড়া আইন অনুযায়ী খোলা অবস্থায় মাংস বহন এবং অনাবৃত করে বিকলাঙ্গতা ও ব্যাধি প্রদর্শনের মতো ঘটনাতেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা। প্রস্তাবিত আইনে সেনানিবাস এলাকায় অবৈধ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের আইনে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা । সেনানিবাস এলাকায় নিবন্ধনের বাইরে কুকুর পুষলে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

সড়কের সরকারি ভূমি খনন করলে জরিমানা ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। আতশবাজি ফোটালে বা গুলি ছুড়লে আগে ৫০ টাকা শাস্তি ছিল। প্রস্তাবিত আইনে এই শাস্তি কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বসতবাড়ি জরাজীর্ণ থাকলে সর্বনিম্ন ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।যা আগে ছিল ৫০ টাকা। প্রস্তাবিত আইনে সেনানিবাস এলাকায় বেসরকারি বাজার বা কসাইখানা স্থাপন করলে শাস্তি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর লাইসেন্স ছাড়া বাজার বা কসাইখানা খুললে জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে। আগে এই অপরাধের শাস্তি ছিল ২০০ টাকা। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করলে জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে দুই হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলে পশুকে আবর্জনা খাওয়ালে জরিমানার পরিমাণ ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধভাবে পানি ব্যবহার করলে আগে ৫০ টাকা জরিমানা হত, নতুন আইনে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরকারি কাজে বাধা দিলে জরিমানা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ৩ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে বিলম্বে আগে জরিমানার কোনো বিধান ছিল না। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সময়সীমা বর্ধিতকরণের আবেদন তিনবারের বেশি হলে ২০ হাজার টাকা এবং পাঁচবারের বেশি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।