০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাবেক বিচারপতিও বিচারের আওতামুক্ত নন: হাইকোর্ট

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
  • 184

বিচারপতি এসকে সিনহা

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে লেখা সুপ্রিম কোর্টের এক চিঠি অকার্যকর বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মার্চ মাসে পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের ঐ চিঠিতে সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু ঐ চিঠির বিরুদ্ধে আনা এক রিট মামলার শুনানির পর হাইকোর্ট মঙ্গলবার বলেছেন, একমাত্র ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ছাড়া কেউই ফৌজদারি অপরাধে বিচারের আওতামুক্ত নন। খবর বিবিসি বাংলা’র।

হাইকোর্ট আরো বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের ঐ চিঠি আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, এবং এ ধরণের চিঠি দেওয়া আইন বহির্ভূত হয়েছে।

বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটি নিয়ে গতমাসে বিদেশ চলে যাওয়ার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেই জানানো হয় প্রেসিডেন্ট তাদেরকে বলেছেন বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, দুদককে লেখা বিতর্কিত চিঠিটি সেই অভিযোগগুলোর একটি।

বিচারপতি সিনহা বিদেশ যাওয়ার পরপই সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ঐ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় শুনানীর পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার রায় দেয়, ঐ ধরণের চিঠি দেওয়া আইন বহির্ভূত ছিল যা আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলতে শুধু প্রধান বিচারপতিকেই বোঝায় না। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের সমন্বয়েই সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বাদে সেখানে অন্যান্য বিচারপতিরাও রয়েছেন। সুতরাং প্রধান বিচারপতির চিঠি মানেই সুপ্রিম কোর্টের চিঠি নয়। আমার এই যুক্তি আদালত গ্রহণ করেছেন।”

যার স্বপক্ষে বিচারপতি সিনহার আমলে দুদককে ঐ চিঠি পাঠানো হয়, সেই সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের আইনজীবী মইনুল হোসেন হাইকোর্টকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, “বিচারপতি সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুদককে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেটি আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।”

তবে সাত বছরেও বিচারপতি জয়নুল আবেদিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান কেন শেষ হয়নি তা নিয়ে হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছে।

হাইকোর্টের আজকের রায়ের পর বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আবার শুরু করা যাবে বলে দুদকের আইনজীবী বলেন।

ট্যাগ :

সাবেক বিচারপতিও বিচারের আওতামুক্ত নন: হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ০৯:০৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে লেখা সুপ্রিম কোর্টের এক চিঠি অকার্যকর বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মার্চ মাসে পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের ঐ চিঠিতে সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু ঐ চিঠির বিরুদ্ধে আনা এক রিট মামলার শুনানির পর হাইকোর্ট মঙ্গলবার বলেছেন, একমাত্র ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ছাড়া কেউই ফৌজদারি অপরাধে বিচারের আওতামুক্ত নন। খবর বিবিসি বাংলা’র।

হাইকোর্ট আরো বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের ঐ চিঠি আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, এবং এ ধরণের চিঠি দেওয়া আইন বহির্ভূত হয়েছে।

বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটি নিয়ে গতমাসে বিদেশ চলে যাওয়ার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেই জানানো হয় প্রেসিডেন্ট তাদেরকে বলেছেন বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, দুদককে লেখা বিতর্কিত চিঠিটি সেই অভিযোগগুলোর একটি।

বিচারপতি সিনহা বিদেশ যাওয়ার পরপই সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ঐ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় শুনানীর পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার রায় দেয়, ঐ ধরণের চিঠি দেওয়া আইন বহির্ভূত ছিল যা আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলতে শুধু প্রধান বিচারপতিকেই বোঝায় না। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের সমন্বয়েই সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বাদে সেখানে অন্যান্য বিচারপতিরাও রয়েছেন। সুতরাং প্রধান বিচারপতির চিঠি মানেই সুপ্রিম কোর্টের চিঠি নয়। আমার এই যুক্তি আদালত গ্রহণ করেছেন।”

যার স্বপক্ষে বিচারপতি সিনহার আমলে দুদককে ঐ চিঠি পাঠানো হয়, সেই সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের আইনজীবী মইনুল হোসেন হাইকোর্টকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, “বিচারপতি সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুদককে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেটি আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।”

তবে সাত বছরেও বিচারপতি জয়নুল আবেদিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান কেন শেষ হয়নি তা নিয়ে হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছে।

হাইকোর্টের আজকের রায়ের পর বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আবার শুরু করা যাবে বলে দুদকের আইনজীবী বলেন।