মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল ঢালীকে প্রতিবন্ধী কোটায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে চাকরি দেয়ায় নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকসহ সাতজনের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিতে একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।

রীটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া এবং রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোকলেছুর রহমান।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অধীনে মুন্সিগঞ্জ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পদটির জন্য রীট আবেদনকারী আবেদন করেন । ওই বছরের ২১ জুন লিখিত পরীক্ষায় জেলার বিভিন্ন থানার ৫৭ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন, তাঁদের মধ্যে রাসেলও ছিলেন। পড়ে চূড়ান্তভাবে ১৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

তিনি জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল ঢালী ‘পরিকল্পনা পরিদর্শক পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ২৮। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আবেদন করে তিনি এ তথ্য জানতে পেরেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় প্রায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবং প্রতিবন্ধী কোটা থাকার পরও তিনি চাকরি পাননি।

শারিরিক প্রতিবন্ধী কোটায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে নিয়োগের জন্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোট রুল জারি করেন এবং পদটি সংরক্ষনের জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়। বুধবার রিটটির ওপর চূড়ান্ত শুনানি মেষে আজ রায়ের জন্য রাখা হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেলকে আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে চাকরি দেয়ায় নির্দেশনা দিয়ে চুড়ান্ত রায় দেন বলে জানান আইনজীবী ছিদ্দিক উল্ল্যাহ।