০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে দুরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে আমেরিকা’

ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মেহেদি হোনারদুস্ত। শক্তিশালী এই দুই প্রতিবেশেীর মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘দি নেশন’ক দেয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইরানের কূটনীতিক মেহেদি হোনারদুস্ত। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যাপারে ইরান এবং পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এটি মুসলিম সমাজগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরির পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রচেষ্টার সম্পূর্ণ বিরোধী, যা দুঃখজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে। মুসলিম সমাজগুলো নানা বিভেদ এবং অনৈক্যের সম্মুখীন। আর বিদেশি শক্তিগুলো এ কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আফগানিস্তান ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল। দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। দেশটিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে আফগানিস্তানের সমাধান সামরিক উপায়ে সম্ভব নয়। সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে কেবল দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “আফগানিস্তানের জন্য একটি কার্যকর সমাধান বের করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ইরান এবং পাকিস্তান কাবুলের কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করতে পারে। গোলযোগপূর্ণ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিদেশি দেশগুলোর বিশেষ করে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন হোনারদুস্ত।”

ট্যাগ :

‘পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে দুরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে আমেরিকা’

প্রকাশিত : ০৭:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মেহেদি হোনারদুস্ত। শক্তিশালী এই দুই প্রতিবেশেীর মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘দি নেশন’ক দেয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইরানের কূটনীতিক মেহেদি হোনারদুস্ত। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যাপারে ইরান এবং পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এটি মুসলিম সমাজগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরির পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রচেষ্টার সম্পূর্ণ বিরোধী, যা দুঃখজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে। মুসলিম সমাজগুলো নানা বিভেদ এবং অনৈক্যের সম্মুখীন। আর বিদেশি শক্তিগুলো এ কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আফগানিস্তান ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল। দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। দেশটিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে আফগানিস্তানের সমাধান সামরিক উপায়ে সম্ভব নয়। সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে কেবল দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “আফগানিস্তানের জন্য একটি কার্যকর সমাধান বের করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ইরান এবং পাকিস্তান কাবুলের কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করতে পারে। গোলযোগপূর্ণ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিদেশি দেশগুলোর বিশেষ করে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন হোনারদুস্ত।”