১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য – রেদওয়ান মুজিব

নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তিনি জানান, সকল শ্রেণীর পাঠকের কথা মাথায় রেখে এই নভেলের তিনটি বাংলা পর্ব প্রকাশের পর এবার প্রথম পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে ইংরেজিতে। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘ঢাকা লিস্ট ফেস্টে’ গ্রাফিক নোভেল মুজিবের প্রথম পর্বের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের মোড়ক উন্মোচন ও মু’জিব : টেকিং হিস্টোরি টু দ্য নেক্সট জেনারেশন’ শীর্ষক আলোচনা পর্বে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এই গ্রাফিক নভেল ১২ পর্বে তৈরির পরিকল্পনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে নানার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতাম। কিন্তু তারা সে সময় তার সম্পর্কে কোথাও কিছু খুঁজে পেতো না। ছয় বছরের একটা ছোট শিশুর জন্য বিষয়টা মোটেও মজাদার কিছু ছিলো না। সে সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বা ইন্দিরা গান্ধি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল ছিলো। আমিও ভাবতাম, আমার নানা সম্পর্কে এমন কিছু থাকলে বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু তখন আমি অনেক ছোট। এর অনেক বছর পর ২০১১ সালে দেশে ফিরে এলাম। আর তখন আবারো আমার মাথায় এই ভাবনাটি উকি দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরার এর থেকে ভালো আর কি উপায় হতে পারে।’ রাদওয়ান মুজিব আরো বলেন, গ্রাফিক নভেল তৈরি প্রসঙ্গে আমি প্রথমে আমার মা ও খালাকে জানাই। তারা আমাকে কাজটি শুরু করতে বলেন। কাজটি সহজ ছিলো না। এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের বেশ সাবধান থাকতে হয়েছিল। তিনি জানান, মুজিব গ্রাফিক নোবেলের ক্রিটিকাল দুই পাঠক বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষে তাদের কাছে গ্রাফিক নভেলটি উপস্থাপন করা হলে অধিকাংশ বিষয়ে তারা সম্মতি দিলেও তাদের দাদার (বঙ্গবন্ধুর পিতা) চুলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলো। বর্তমানে আমরা যারা আছি, তারা কেউ কখনও বঙ্গবন্ধুর পিতার চুল দেখিনি। এমন বেশ কিছু সংশোধন শেষে আমরা গ্রাফিক নভেলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি। এ সময় আলোচনা প্যানেলে উপস্থিত একজনের প্রশ্নের উত্তরে রাদওয়ান মুজিব বলেন, সকল শ্রেণীর পাঠকের কথা চিন্তা করেই বইটি বাংলা ও ইংরেজিতে তৈরি করা হয়েছে। আর ইংরেজি বইটির ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় শ্রেণীর পাঠকের কথা ভাবা হয়েছে। গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় বলেন, আমার জন্য বিষয়টা স্বপ্নের মত ছিলো। এত বড় মাপের একজন মানুষকে আঁকতে গিয়ে আমার নিজস্ব স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমি সাধারণত কার্টুন চরিত্র আঁকতাম। কিন্তু এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন বয়সের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে আঁকার চেষ্টা করেছি। এর জন্য আমাদের দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়েছে। ভারতের কবি ও শিশু ফিকশনের লেখক জেরি পিন্টোর সঞ্চালনায় এই আলোচনা পর্বে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রান্তা ম্যাগাজিনের অনলাইন এডিটর লুক নেইমা এবং ইউল্যাবের শিক্ষক আর্জু ইসমাইল। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক কাজী আনিস, সাদাফ সায্ ও আহসান আকবার। ‘মুজিব’ বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার।

ট্যাগ :

বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য – রেদওয়ান মুজিব

প্রকাশিত : ০২:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তিনি জানান, সকল শ্রেণীর পাঠকের কথা মাথায় রেখে এই নভেলের তিনটি বাংলা পর্ব প্রকাশের পর এবার প্রথম পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে ইংরেজিতে। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘ঢাকা লিস্ট ফেস্টে’ গ্রাফিক নোভেল মুজিবের প্রথম পর্বের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের মোড়ক উন্মোচন ও মু’জিব : টেকিং হিস্টোরি টু দ্য নেক্সট জেনারেশন’ শীর্ষক আলোচনা পর্বে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এই গ্রাফিক নভেল ১২ পর্বে তৈরির পরিকল্পনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে নানার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতাম। কিন্তু তারা সে সময় তার সম্পর্কে কোথাও কিছু খুঁজে পেতো না। ছয় বছরের একটা ছোট শিশুর জন্য বিষয়টা মোটেও মজাদার কিছু ছিলো না। সে সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বা ইন্দিরা গান্ধি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল ছিলো। আমিও ভাবতাম, আমার নানা সম্পর্কে এমন কিছু থাকলে বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু তখন আমি অনেক ছোট। এর অনেক বছর পর ২০১১ সালে দেশে ফিরে এলাম। আর তখন আবারো আমার মাথায় এই ভাবনাটি উকি দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরার এর থেকে ভালো আর কি উপায় হতে পারে।’ রাদওয়ান মুজিব আরো বলেন, গ্রাফিক নভেল তৈরি প্রসঙ্গে আমি প্রথমে আমার মা ও খালাকে জানাই। তারা আমাকে কাজটি শুরু করতে বলেন। কাজটি সহজ ছিলো না। এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের বেশ সাবধান থাকতে হয়েছিল। তিনি জানান, মুজিব গ্রাফিক নোবেলের ক্রিটিকাল দুই পাঠক বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষে তাদের কাছে গ্রাফিক নভেলটি উপস্থাপন করা হলে অধিকাংশ বিষয়ে তারা সম্মতি দিলেও তাদের দাদার (বঙ্গবন্ধুর পিতা) চুলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলো। বর্তমানে আমরা যারা আছি, তারা কেউ কখনও বঙ্গবন্ধুর পিতার চুল দেখিনি। এমন বেশ কিছু সংশোধন শেষে আমরা গ্রাফিক নভেলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি। এ সময় আলোচনা প্যানেলে উপস্থিত একজনের প্রশ্নের উত্তরে রাদওয়ান মুজিব বলেন, সকল শ্রেণীর পাঠকের কথা চিন্তা করেই বইটি বাংলা ও ইংরেজিতে তৈরি করা হয়েছে। আর ইংরেজি বইটির ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় শ্রেণীর পাঠকের কথা ভাবা হয়েছে। গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় বলেন, আমার জন্য বিষয়টা স্বপ্নের মত ছিলো। এত বড় মাপের একজন মানুষকে আঁকতে গিয়ে আমার নিজস্ব স্টাইল পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমি সাধারণত কার্টুন চরিত্র আঁকতাম। কিন্তু এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন বয়সের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে আঁকার চেষ্টা করেছি। এর জন্য আমাদের দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়েছে। ভারতের কবি ও শিশু ফিকশনের লেখক জেরি পিন্টোর সঞ্চালনায় এই আলোচনা পর্বে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রান্তা ম্যাগাজিনের অনলাইন এডিটর লুক নেইমা এবং ইউল্যাবের শিক্ষক আর্জু ইসমাইল। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক কাজী আনিস, সাদাফ সায্ ও আহসান আকবার। ‘মুজিব’ বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার।