০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তি রপ্তানী করবো

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি নয় এখন থেকে রপ্তানী করা হবে। দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষার উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি নয় এখন থেকে রপ্তানী করবো। নতুন প্রজন্ম মেধার দিক থেকে দরিদ্র নয়। তাদেরকে বিশ্বমানের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমরা অনুকরণীয় হতে পারি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ই হবে জ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, একটি সুন্দর দেশ গড়তে সরকার নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, দক্ষতা ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অর্জন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে। উপÑকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরিটাস অধ্যাপক ড.এ কে আজাদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড.মো.আবুল কাশেম। এতে বলা হয়, দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির হার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির হার ৩৩ থেকে বড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ। এছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দারিদ্রপীড়িত জনসংখ্যার সিংহভাগ শিশুদের উপস্থিতি বেড়েছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির কারণে। দেশের ৭২টি উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কর্মসূচি চলছে। প্রবন্ধে বলা হয়, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাগ্রহণে কন্যা শিশু এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ৪৯ভাগ। বাংলাদেশে মোট শিক্ষার্থীর ৫০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৫২ শতাংশই ছাত্রী। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী এনরোলমেন্ট বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় ১ শতাংশের নিচে ছিল, যা বর্তমানে ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ এনরোলমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিপ্লোমা কোর্স আসন সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ৪৮ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষায় সরকারের অর্জনও কম নয় জানিয়ে বলা হয়, দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর মাদরাসা এডুকেশন’ প্রকল্পের আওতায় ২৮১টি মাদরাসায় কারিগরী শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫টি মাদরাসাকে আইসিটি ল্যাবসহ মডেল মাদরাসা হিসেবে উন্নত ও আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত এবং মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সমতা আনা হয়েছে। স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর স্থাপন করা হয়েছে। এ অধিদফতরের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৯০৭ টি মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও কাওমী মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমান সরকার প্রথম ১২ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়। একই সময়ে বেসরকারি খাতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশে ৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ টি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩ টি স্থাপিত হয়েছে। ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশে ‘রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা প্রণোদনা প্রদাণের লক্স্যে প্রকল্প সংখ্যা ৪’শ ৯৭ থেকে ১ হাজার ২’শ ৮২ তে উন্নীত করেছে। ঢাবি উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক কাজ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদের বিকাশে জ্ঞানচর্চা করা। মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশই তরুণ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যায় থেকে এদের বীজ বপনের সময় শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এর পূর্ণতা লাভ করে । তাই এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে যুগোপযোগী করে গড়ে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। ড. এ.কে আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের গুনগতমানের শিক্ষাসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে দক্ষ ও যোগ্য এগিয়ে নিতে হবে। তাতেই শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া কোন দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই লক্ষ্যেই দেশের জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সকলকে কাজ করে যেতে হবে।

ট্যাগ :

আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তি রপ্তানী করবো

প্রকাশিত : ০৩:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি নয় এখন থেকে রপ্তানী করা হবে। দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষার উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমদানি নয় এখন থেকে রপ্তানী করবো। নতুন প্রজন্ম মেধার দিক থেকে দরিদ্র নয়। তাদেরকে বিশ্বমানের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমরা অনুকরণীয় হতে পারি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ই হবে জ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, একটি সুন্দর দেশ গড়তে সরকার নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, দক্ষতা ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অর্জন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে। উপÑকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরিটাস অধ্যাপক ড.এ কে আজাদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড.মো.আবুল কাশেম। এতে বলা হয়, দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির হার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির হার ৩৩ থেকে বড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ। এছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দারিদ্রপীড়িত জনসংখ্যার সিংহভাগ শিশুদের উপস্থিতি বেড়েছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির কারণে। দেশের ৭২টি উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কর্মসূচি চলছে। প্রবন্ধে বলা হয়, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাগ্রহণে কন্যা শিশু এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ৪৯ভাগ। বাংলাদেশে মোট শিক্ষার্থীর ৫০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৫২ শতাংশই ছাত্রী। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী এনরোলমেন্ট বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় ১ শতাংশের নিচে ছিল, যা বর্তমানে ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ এনরোলমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিপ্লোমা কোর্স আসন সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ৪৮ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষায় সরকারের অর্জনও কম নয় জানিয়ে বলা হয়, দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর মাদরাসা এডুকেশন’ প্রকল্পের আওতায় ২৮১টি মাদরাসায় কারিগরী শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫টি মাদরাসাকে আইসিটি ল্যাবসহ মডেল মাদরাসা হিসেবে উন্নত ও আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত এবং মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সমতা আনা হয়েছে। স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর স্থাপন করা হয়েছে। এ অধিদফতরের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৯০৭ টি মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও কাওমী মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমান সরকার প্রথম ১২ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়। একই সময়ে বেসরকারি খাতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশে ৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ টি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩ টি স্থাপিত হয়েছে। ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশে ‘রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা প্রণোদনা প্রদাণের লক্স্যে প্রকল্প সংখ্যা ৪’শ ৯৭ থেকে ১ হাজার ২’শ ৮২ তে উন্নীত করেছে। ঢাবি উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক কাজ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদের বিকাশে জ্ঞানচর্চা করা। মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশই তরুণ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যায় থেকে এদের বীজ বপনের সময় শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এর পূর্ণতা লাভ করে । তাই এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে যুগোপযোগী করে গড়ে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। ড. এ.কে আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের গুনগতমানের শিক্ষাসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে দক্ষ ও যোগ্য এগিয়ে নিতে হবে। তাতেই শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া কোন দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই লক্ষ্যেই দেশের জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সকলকে কাজ করে যেতে হবে।